রোজায় কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন মাংস ব্যবসায়ীরা

আসন্ন রোজায় কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। ঢাকার মাংস ব্যবসায়ীদের সংগঠন শিগগিরই এক সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এর ফলে বাড়ানো হয়েছে গরুর মাংসের দাম। আর দাম বাড়ানোর ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ব্যবসায়। এখন গরুর মাংস কম বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তারা।

মাংস ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন যে, গত দেড় বছরে খাজনার পরিমাণ বাড়তে বাড়তে এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে, এখন প্রতিটি গরুর জন্য আলাদা করে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ট্যানারিগুলো আগের মতো গরুর চামড়া কিনছে না। ফলে নানা রকম সমস্যা পড়তে হচ্ছে মাংস ব্যবসায়ীদের।

রাজধানীর গাবতলীতে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার গরুসহ অন্যান্য গবাদি পশু কেনাবেচা হয়। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার গরু- মহিষ ও দেড় হাজার ছাগল- ভেড়ার চাহিদা আছে রাজধানীতে। এগুলোর জোগান দেয়া হয় দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে। কিছু গরু- ছাগল ভারত থেকেও আসে।

ব্যবাসায়ীরা বলছেন, এতো সংখ্যক পশুর বেশির ভাগই কেনাবেচা হয় গাবতলীতে। সেখানে খাজনার পরিমাণ এতো বেড়ে গেছে যে, এখন গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে ৫০০ টাকা করে। এতো দামে বিক্রি না করলে ক্ষতি মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। আবার দাম বাড়ার কারণে ক্রেতাও আগের মতো নেই।

মাংস ব্যবসায়ীদের এই কর্মবিরতির ঘোষণার আসার মূল কারণ হলো ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ইজারাদারদের সঙ্গে তাদের বিরোধ।

অনেক মাংস ব্যবসায়ী অবশ্য কর্মবিরতির পক্ষে নন। তারা বলছেন, কর্মবিরতির মতো সিদ্ধান্ত না নিয়ে, দাবি- দাওয়া থাকলে অন্য যে কোনো উপায়ে তা আদায় করার চেষ্টা করতে। রোজার মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কর্মবিরতি দেয়া হলো পরিবারের মানুষের না খেয়ে থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকজন মাংস ব্যবসায়ী।