নসরুল হামিদ: এটা লোডশেডিং নয়, লোড শেয়ার করছি

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে চলছে তীব্র লোডশেডিং। এমনিতে প্রচণ্ড তাপদাহ তার ওপর ঘন ঘন বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় জনজীবন অতিষ্ট। তবে বিদ্যুতের এই যাওয়া-আসাকে লোডশেডিং বলতে নারাজ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেন, 'সরকার বিদ্যুতের লোডশেডিং নয় বরং লোড শেয়ার করছে।'

আজ বৃহস্পতিবার চলতি গ্রীষ্ম মৌসুম এবং আসন্ন রমজান মাসে সারাদেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ও সরবরাহ বিষয়ক এক বৈঠক শেষে বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এই কথা বলেন।

সারাদেশে প্রচণ্ড লোডশেডিং থাকার পরও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ওয়বেসাইটে লোড শেডিং 'জিরো' উল্লেখ রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'এটাতো লোডশেডিং না, লোড শেয়ারিং করছি।'

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বর্তমানে আমাদের চাহিদা ১০ হাজার ৭০০ থেকে ১০ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। বর্তমানে উৎপাদন কম আছে, তবে শনিবারের মধ্যে সে জায়গায় পৌঁছে যাবো। সমস্যার একটা কারণ বেসরকারি খাতের পাওয়ার প্লান্টগুলো প্রয়োজনের সময় ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা।'

তিনি বলেন, 'বেসরকারি প্লান্টগুলোকে শীতকালীন সার্ভিসিংয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছিলো। কিন্তু তারা তখন চালু রেখেছিল। আমাদের গ্যাসের সংকট রয়েছে। ইতোমধ্যে কাফকো, শাহজালাল সার কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। সেটার প্রতিক্রিয়া আসতে দু’দিন সময় লাগতে পারে। শনিবারের মধ্যে গ্যাসের অভাব পূরণ হলে প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াটের মতো পাবো। এছাড়াও একটা টাওয়ার পড়ে যাওয়ায় দুই দিকের পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ আছে। এখানেও ৮০০ মেগাওয়াট গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে।'

নসরুল হামিদ বিপু বলেন, 'বর্তমানে প্রতিমাসে ৯০০-১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে। যেভাবে চাহিদা বাড়ছে, একসময় চাহিদা ৩০ হাজার মেগাওয়াট হয়ে যাবে। আমরা সব ধরণের চেষ্টা চালাচ্ছি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ হতে আরো ৩ বছর সময় লাগতে পারে।'