ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’, সাত নম্বর বিপদ সংকেত

চলতি মাসে তিন দফা তাপপ্রবাহের রেশ এখনো কাটেনি। তার মধ্যেই হয়তো ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করতে হচ্ছে দেশবাসীকে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর রাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মোরা’।

ঘূর্ণিঝড় সংলগ্ন এলাকায় সাগর অনেক উত্তাল রয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরের জন্য সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহা্ওয়া অধিদপ্তর। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী এবং চাঁদপুর সাত নম্বর বিপদ সংকেতের অধীনে থাকবে বলে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহওয়া অধিদপ্তর বলছে, সোমবার ভোরে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার, কক্সবাজার উপকূল থেকে ৪৯০, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬২০ ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবাহওয়া অধিদপ্তরের মতে, মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়টি যদি দেশের উপকূল অঞ্চল অতিক্রম করে তবে তখন এর গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ৮৮ কিলোমিটারেরও বেশি।

গত ১৫ এপ্রিল সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। পরের দিন যেটা ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্টি হয়। ‘মারুথা’ নাম দেওয়া হয়েছিল ওই ঘূর্ণিঝড়টির। পরে মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় ‘মারুথা’।