সবজির বাজারে আগুন

চড়া মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে সবজি ও মাছ। গত এক সপ্তাহে বাজারের প্রায় সব সবজির দামই কমবেশি বেড়েছে। একই সঙ্গে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় সবধরনের মাছের দামও বেড়েছে।

বিক্রেতারা দাবি করছেন, পাইকারি আড়তে সবজির সরবরাহ কমায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এতে খুচরা বিক্রেতাদেরও ক্ষতি, বিক্রি কম হয় ফলে চালান ওঠে না।

শনিবার মিরপুরের একাধিক কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি সবজিরই দাম কেজি প্রতি অন্তত ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে আর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম।

বাজারে সবজির দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে সবজি বিক্রেতা এখলাস উদ্দিন বলেন, ‘কারওয়ান বাজারে কোন মাল নেই। গত সপ্তাহে যে মালের দাম ছিল ৪০ টাকা, এ সপ্তাহে সেটা আমাদেরকে ৪৪-৪৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আর কাঁচামরিচ কিনতে গেলে তো পকেটে টাকাই থাকে না।’

জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে আলুর কেজি প্রতি ২২-২৬, বরবটি ৬০-৬২, কাঁকরোল ৫৫-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৫৫ ও শিম ১৩০ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। গত সপ্তাহে দাম ছিল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, চলতি সপ্তাহে তা বেড়ে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে কোথাও কোথাও ৩০০ টাকা পর্যন্ত কাঁচামরিচের দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।

চিচিঙ্গার কেজি ৬০ টাকা, করলা ৬০, টমেটো ১৪০, ধুন্দুল ৪০ ও মুলা ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া লাউ প্রতি পিস ৩০-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০, ডাঁটাশাক আঁটি প্রতি ৩০ টাকা, কলমিশাক ২০, লালশাক ৩০, পুঁইশাক ৬০ ও পাটশাক ১৫ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে পেঁয়াজের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। গতকাল প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা ও দেশী পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একইভাবে প্রতি কেজি রসুন ও আদা ৮০-১২০ এবং শুকনা মরিচ ১৭০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী আলিম জানান, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন আড়ত থেকে সবজির সরবরাহ কমেছে। পাশাপাশি আড়ত ও মোকামেও সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তাই রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলোতে সবধরণের সবজির দাম বেড়েছে।

প্রজনন মৌসুমের কারণে গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ইলিশ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে যার প্রভাব পড়েছে বাজারের অন্যান্য মাছে। রুই কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা, কাতলা ৩০০ ও শিং ৫০০ টাকা দরে। অন্যদিকে মাংসের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। রাজধানীতে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৮০-৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭০০-৭৫০ টাকায় । তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে এখন ১২০-১৩০ ও দেশি-মুরগি ৩৭০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।