‘বিএনপি ইচ্ছে হলে নির্বাচনে আসবে, না হলে আসবে না’

সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, 'বাংলাদেশের মানুষ নিরপেক্ষ নির্বাচন আর শান্তি চায়। আওয়ামী লীগ সরকার কিন্তু জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে কাজ করে যাচ্ছে। সেজন্য কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। এখন কারো ইচ্ছে হলে নির্বাচনে আসবে, না হলে আসবে না।'

বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা বা সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে কি না এ প্রসঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, 'নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হচ্ছে কি না সেটিই বড় বিষয়। তবে আমরা কাউকে নির্বাচনে আসতে বাধ্য করতে পারি না। বিএনপি ইচ্ছে হলে নির্বাচনে আসবে, ইচ্ছে না হলে আসবে না। কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে না। আমরা ২০১৪ সালে একবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আপনারা দেখেছেন বেগম জিয়া কিভাবে আমার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন। বাড়ির দরজা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।'

রোববার বেসরকারি টিভি চ্যানেল একাত্তরের সংবাদ-সংযোগ অনুষ্ঠানে লাইভে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচনের পাশাপাশি নিজের রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা, আইটি সেক্টরে বাংলাদেশের সম্ভাবনা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। জনগণ প্রযুক্তির অগ্রগতির সুফলও ভোগ করছে। শুধুমাত্র স্বল্প মজুরির শ্রমিকের দেশ নয়, বাংলাদেশ প্রযুক্তি পণ্য রপ্তানি এবং সেবা দিতে প্রস্তুত। বাংলাদেশ প্রযুক্তি বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।'

আওয়ামী লীগ রাজপথের দল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, 'আওয়ামী লীগ একটি বৃহত্তম এবং জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগে গ্রুপিং লবিং থাকে তবে আন্দোলনের সময় সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়।'

নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জিতবে আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে জয় বলেন, 'আমরা একটা জরিপে দেখেছি সামনের নির্বাচনে ২০০৮ সালের চাইতে বড় জয় আসবে। বর্তমানে শতকরা ৬০ ভাগ লোক আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমরা জনগণের উন্নয়নে কাজ করেছি। জনগণ নিশ্চয়ই ভোটের মাধ্যমে এর জবাব দেবে। তবে বিজয় নিয়ে আমি চিন্তা করি না। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যেন ৫ জানুয়ারির মতো কোন ঘটনা-দুর্ঘটনা না ঘটে।'

রাজনীতিতে আসবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, 'আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। সেখানে ব্যক্তি মানুষের চাইতে সকলের ইচ্ছার মূল্যটা অনেক বেশি। আমাদের কাউন্সিলে কাউন্সিলররাই নির্ধারণ করেন কারা হবেন দলের নেতা। আমি রাজনীতিতে আসবো কি না সেটা বলতে পারছি না। সেটি হয়তো সময়ই বলে দেবে। তবে আমাদের পরিবারের ক্ষমতা কিংবা অর্থের লোভ নেই। দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে যেতে চাই, তাই করছি।'