রাজশাহীতে ফের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড

কয়েকদিন ধরে সারাদেশে টানা শৈত্যপ্রবাহের মাঝে দেশের উত্তরাঞ্চল রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করার পর রোববার তা আরও কমে ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে।

প্রচণ্ড কুয়াশার সাথে হিমেল বাতাসের কারণে সারাদেশে হাড় কাঁপানো শীত। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আর এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, শনিবার ভোরে রাজশাহীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই অবস্থা ছিল চুয়াডাঙ্গাতেও। কিন্তু রোববার তাপমাত্র আরও কমে ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে, যা চলতি শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারা দেশে মৌসুমী শীতের মাঝে বৃহস্পতিবার থেকে মাঝারি ধরণের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। ওইদিন রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন শুক্রবার তা সামান্য বেড়ে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ালেও শনিবার সকাল ৬টায় কমে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়।

আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, এবার দেখা যাচ্ছে ধারাবাহিকভাবেই তাপমাত্রা কমছে। ফলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই অবস্থার উন্নতির সম্ভাবনা খুব একটা নেই। তবে রাতে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে শুরু করলে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহে রাজশাহী ও আশপাশের এলাকার ওপর দিয়ে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে। গত বছরের ১৪ জানুয়ারি রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্র ছিল ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. আসাদুজ্জামান জানান, তীব্র শীতের কারণে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।