ই-বাইকে মাত্র দুইশত টাকায় চলবে সারা মাস

যানজটের এই শহরে বাইক চালাতেও প্রতিদিন কমপক্ষে ১ লিটার জ্বালানি প্রয়োজন। এদিকে ক্রমেই বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। কিন্ত যদি এমন যানবাহন পাওয়া যায়, যার পুরো মাসের খরচ দাঁড়াবে মাত্র দুইশত টাকা! এমনই সাশ্রয়ী ই-বাইক বাংলাদেশে এনেছে আকিজ মটর।

আকিজের এই ই-বাইকে কোন জ্বালানির প্রয়োজন হবে না। রাইডার যদি মনে করেন সাইকেলের প্যাডেল ঘুরিয়ে নিজেকে ফিট রাখবেন সেটিও করা যাবে। এটি মূলত ইলেকট্রিক বাইক। ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেলে সাইকেলের মত প্যাডেল ঘুরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, 'ঈগল' নামের এই ইলেকট্রিক বাইকটি নগর জীবনের যাতায়াতকে করবে আরো সহজ।

জানা গেছে, প্যাডেল চালিত দুই চাকার ই-বাইকটিতে ৩৫০ ওয়াটের লিড এসিড ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। যার ক্যাপাসিটি ৬০ ভোল্ট ও ১২ অ্যাম্পিয়ার আওয়ার। একবার ফুল চার্জ দিতে সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা। বলা হচ্ছে, একবার বাইকটি পূর্ণ চার্জ করতে সর্বোচ্চ ৬ টাকার বিদ্যুৎ খরচ হবে। অর্থাৎ ত্রিশ দিনে ২০০ টাকাও খরচ হবে না।

আকিজ মটরসের সার্ভিস ম্যানেজার আবু শাহাদাত মো. নোমান জানান, একবার ব্যাটারি চার্জ দিয়ে 'ঈগল' বাইকটি দিনে ৪৫-৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম। রাইডার ইচ্ছে করলে ঘণ্টায় ৩৮ কিলোমিটার বেগে চালাতেও পারবেন।

তিনি আরো বলেন, 'অনেকে ভাবেন এই ই-বাইক চালালে পুলিশ আটকাবে কিন্তু ই-বাইক সড়কে চালাতে সরকারি কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে রাইডারের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা ভালো। দুর্ঘটনা এড়াতে চালক এবং আরোহীকে অবশ্যই হেলমেট পরিধান করতে করতে বলবো।'

জানা গেছে, বাইকটি দিয়ে ভারী জিনিসপত্র আনা-নেওয়া করা যাবে। এজন্য পেছনের সিটটা খুলে মালপত্র বহন করতে হবে। আরোহীর পা রাখার জন্যও রয়েছে পাদানি। বাইকটির সামনে ও পিছনে রয়েছে ড্রাম। টায়ারের সাইজ ২.২৫-১৭। বাইকটির সামনে হেডলাইট এবং পেছনে টেল লাইট আছে। ডানে বা বামে রয়েছে সিগন্যাল লাইট। বাইকটির সামনের দিকে হালকা মালপত্র বহনের জন্য থাকছে ঝুড়ি। পেছনের দিকে খেয়াল রাখার জন্য রয়েছে লুকিং গ্লাস। বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা। পাওয়া যাবে রাজধানীর বাণিজ্য মেলাসহ আকিজ মটরসের সকল শো’রুমে।