আনন্দবাজারের দাবি: ক্ষমতায় যেতে আরএসএস-বিএনপি বৈঠক

ক্ষমতায় যেতে ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বিএনপি বৈঠক করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাগপুরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভারতের এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী দলকে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বিএনপি। ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিভিন্ন ধরনের ছাড় দেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ৫০টি আসন ও মন্ত্রিত্বের প্রতিশ্রুতি এর মধ্যে অন্যতম। রোববার এসব তথ্য জানিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

অনুসন্ধানী এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন অগ্নি রায় নামের একজন সাংবাদিক। প্রতিবেদনে বলা হয়, নাগপুরে আরএসএস-এর একটি অংশের সঙ্গে বিএনপির কয়েকজন প্রতিনিধি সম্প্রতি সাক্ষাৎ করেছেন। তাছাড়া গত বছরের শেষে খালেদা জিয়া যখন লন্ডনে যান, সেখানেও আরএসএসের প্রবাসী কিছু নেতার সঙ্গে তার কথা হয়।

খবরে বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়া গত কয়েক মাস ধরে দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এজন্য আরএসএস তথা সংঘ পরিবারের মাধ্যমে বিএনপি-জামাত জোট মোদি সরকারের কাছে এই বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা করছে যে, শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতি কূটনৈতিক পক্ষপাত বহাল না রেখে বিএনপির সঙ্গেও বোঝাপড়া করুক।

আনন্দবাজারের দাবি অনুযায়ী, এ বিষয়ে নাগপুরে আরএসএস-এর একটি অংশের সঙ্গে বিএনপির কয়েক জন প্রতিনিধি সম্প্রতি দেখা করে এসেছেন। তাছাড়া গত বছরের শেষে খালেদা জিয়া যখন লন্ডনে যান, সেখানেও সঙ্ঘের প্রবাসী কিছু নেতার সঙ্গে কথা হয় তাঁর।

আরএসএসের সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দিল্লির সঙ্গে একটা বোঝাপড়ায় বেশ আগ্রহী বিএনপি নেতৃত্ব। খালেদা জিয়ার দল মোদি সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করছে, হাসিনা সরকারের সময়ই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার হয়েছে। এখনও সংখ্যালঘুদের ওপর নানা ধরনের নির্যাতন চলছে। মন্ত্রিসভা ও জাতীয় সংসদে সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্ব নামমাত্র। বিএনপি ঘরোয়াভাবে এ কথাও আরএসএস-কে জানিয়েছে যে, তারা অন্তত ৫০ জন সংখ্যালঘু প্রার্থীকে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী করতে ইচ্ছুক। এছাড়া ক্ষমতায় এলে মন্ত্রিসভায় হিন্দু প্রতিনিধিত্বও বর্তমান আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি দেয়া হবে।

তবে সব তথ্যই অগ্নি রায় তার নিজস্ব সূত্র থেকে পেয়েছেন বলে জানান ওই প্রতিবেদনে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সূত্রের কথা উল্লেখ করা হলেও একটিবারও তিনি কোনো সূত্রের নাম উল্লেখ করেননি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিএনপি এবং ভারতের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে একদম চুপ।