আপনি পড়ছেন

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় সহযোগিতার জন্য ভারতের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ গঠনেও প্রতিবেশী দেশটিকে পাশে পেয়েছেন তিনি। তবে ভারতের অকৃত্রিম বন্ধু দেশটির সরকার প্রধানের একটাই দুঃখ- দিদিমণি (পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) পানি দেন না।

five lac trees will be planted around rampal says hasina

২২ ফেব্রুয়ারি ভারতের অন্যতম বাংলাপত্রিকা দৈনিক আনন্দবাজারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা উঠে এসেছে। প্রতিবেদক অনমিত্র চট্টোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভারতীয় একদল সাংবাদিকের রাত্রিভোজের ঘটনা তুলে ধরেন। সে সময় প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।

বাংলাদেশ সফরে আসা ওই সাংবাদিকের দল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নিজ বাড়িতে তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন তিনি। একটি ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’-এর আমন্ত্রণে তারা ঢাকায় আসেন।

priminister shekh hasina

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, আপ্যায়নের সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যখন প্রশ্ন করলাম- তিস্তার পানির কী হল? জবাবে তিনি বললেন, বিদ্যুৎ নিন। আমি বললাম, আচ্ছা তা-ই দিন। যা পাওয়া যায় আর কী!’

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করা আত্রেয়ী ও চূর্ণীর পানি নিয়ে ভারতীয় অভিযোগ নাকচ করে দেন শেখ হাসিনা। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘এর সবই তিস্তার পানি না দেওয়ার অজুহাত।’

তবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আবার উনি (মমতা) বলেননি যে, পানি দিবেন না। এটাও কিন্তু ঠিক। তাই আমরা আশা করছি তিনি পানি দিবেন।’ সেই আশায় তিস্তার বাংলাদেশি শাখা নদীগুলিতে ড্রেজিং করা হয়েছে। যাতে পানি পাওয়ার পর দ্রুত ব্যবহার করা যায়। প্রতিবেদনটিতে ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, দু’দেশের সম্পর্কে তিস্তা চুক্তিই শেষ কথা নয়। তিস্তার জটিলতা একটা বাস্তবতা।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দিল্লির সঙ্গে শেখ হাসিনার সরকারের সহযোগিতার বিষয়টি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেষ করা যাবে না।’

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকা-কলকাতা বাস, মৈত্রী আর বন্ধন ট্রেন হয়েছে। ট্রানজিট এবং চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছি। আমরা কোনও বিষয়ে কার্পণ্য করিনি।’

sheikh hasina shinzo abe

ভারতকে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের কাছে ভারতের জায়গায় ভারত আর চীনের জায়গায় চীন থাকবে। ভারত সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বন্ধু, চীন নতুন বন্ধু। সুতরাং এখানে চীনা বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’

ভারতের ভূমিকা নিয়ে আক্ষেপ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনে আমরা ভারতের সহযোগিতা পাইনি। সেই নির্বাচনে তারা যাদের সহযোগিতা করেছিল, সেই সরকার তাদের কিছুই দেয়নি।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দল বিএনপি যোগ দিবে কিনা- এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে দলের কোনো অভাব নেই। বিএনপি না এলেও নির্বাচন হবে।’

ভারতীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আজ প্রধানমন্ত্রী আছি, কাল না-ও থাকতে পারি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে ভারতীয়দের প্রাণের বন্ধু মনে করি।’ এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সাংবাদিকদের অবদানের কথাও স্মরণ করেন।

হাসিখুশি মেজাজে থাকা শেখ হাসিনার কাছে এর কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি ভয়ে মুখ শুকিয়ে থাকি না আমি। এ পর্যন্ত ১৯ বার আক্রান্ত হয়েছি। সময় আসলে মরতে হবেই।' এ সময় তিনি বলেন ‘জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!’

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.