‘জানাজা, কুলখানি করতেও পুলিশের অনুমতি নেয়া লাগবে’

বর্তমান সরকার পুলিশের ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘সরকার পুলিশকে যে পরিমাণ ক্ষমতা দিয়েছে তাতে মনে হচ্ছে গণতন্ত্রের মৃত্যু পরোয়ানা এখন পুলিশের হাতেই।’

শনিবার বিকেলে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা রিজভী এসব কথা বলেন। রিজভী আক্ষেপ করে বলেন, ‘বর্তমানে দেশের এমন এক অবস্থা হয়েছে, যাতে মনে হচ্ছে কারো মৃত্যুর জানাজা, কুলখানি অথবা রুহের মাগফিরাত কামনা করতে গেলেও পুলিশের অনুমতি নেয়া লাগবে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি অভিযোগ করে, ‘আজকের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দিল। সেটা দেশবাসী দেখেছেন। সরকারের চণ্ডনীতির ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করছে। তারা আজ হিতাহিত বিবেক বিবেচনাহীন। অবৈধ ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছায় জনগণকে পরাধীনতার সুদৃঢ় বন্ধনে বন্দি করে রাখার গুরু দায়িত্ব যেন নিয়েছেন।’

পুলিশ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী বলেন, ‘বিএনপি ঘোষিত শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা প্রদর্শনের কর্মসূচির কদর্য হিংস্র আক্রমণ চালালো পুলিশ। পুলিশের গুণ্ডামিতে ক্ষতবিক্ষত বিএনপি নেতাকর্মীরা। আহতরা তৃষ্ণায় পানি চাইলে পুলিশ অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। পুলিশি সহিংসতায় আজ দলের মহিলা নেতাকর্মীসহ পুরুষ নেতাকর্মীদেরও রক্তাক্ত হতে হয়েছে। চিকিৎসার জন্য সাতটি অ্যাম্বুলেন্সও ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘পুলিশ বাহিনী দলের যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক এমপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সেঙ্গে যে নৃশংস আচরণ করেছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ঘাড় ধরে শার্টের কলার টেনে তাকে সিএনজিতে তোলা হয়। আমি দলের পক্ষে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’

প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করে রিজভী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এবং আজকের কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচির ওপর পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে ২৬ ফেব্রুয়ারি, সোমবার বিএনপির উদ্যোগে ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় এবং দেশব্যাপী জেলা সদর ও মহানগরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে।’