আত্মসমর্পণ করলেন ফয়জুরের বাবা-মা

সিলেটে অধ্যাপক ও লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুর রহমানের বাবা-মা থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে তারা জালালাবাদ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। তার বাবার নাম আতিকুর রহমান ও মা মিনারা বেগম।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুর রহমানের বাবা-মা রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে থানায় আত্মসমর্পণ করেন।’

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন ফয়জুরের বাসায় শনিবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে তার মামা ও জেলা কৃষক লীগের বহিষ্কৃত নেতা ফজলুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। পরদিন রোববার ভোরে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে গ্রামের বাড়িতে র‌্যাবের অভিযানে আটক হন চাচা আবদুল কাহার।

এদিকে র‌্যাবের কাছ থেকে রোববার বিকেলে ফয়জুর রহমানকে নেয়া হয় পুলিশ হেফাজতে। পরে আহত অবস্থায় পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ফয়জুর চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

আক্রান্ত জাফর ইকবাল ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। চিকিৎসকরা জানান, অধ্যাপক জাফর ইকবালের শরীরে ছয়টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এসব স্থানে মোট ৩৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মাথার চার আঘাতে দেয়া হয়েছে ২৬টি সেলাই। বাম হাত ও পিঠের বাম পাশে একটি করে আঘাতে ৬টি করে সেলাই দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার বিকালে নিজ ক্যাম্পাস শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে পেছন থেকে অধ্যাপক জাফর ইকবালের মাথায় ছুরিকাঘাত করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।

পরে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে শনিবার রাতেই তাকে সিলেট থেকে এনে ঢাকা সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়।

হামলাকারী ফয়জুর রহমানকে ঘটনাস্থলেই শিক্ষার্থীরা আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়। পরে তাকে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ফয়জুর।