সমাপনীতে থাকছে না নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন!

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) থাকছে না নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন। অব্যহত প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নীতিগত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, নজরদারি বাড়াতে পরীক্ষা পদ্ধতিতেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সর্বশেষ অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে দেশজুড়ে বির্তকের মুখে আগামী বছর থেকে নতুন পদ্ধতিতে এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার পিইসিতে প্রশ্নফাঁস বন্ধে এমসিকিউ বা নৈর্ব্যক্তিক বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সংলিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় পিইসি পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ওই সভার সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, শতভাগ সৃজনশীল প্রশ্ন নিশ্চিত করা, ফাঁস বন্ধে সফটওয়ারের মাধ্যমে পরীক্ষার আট দিনের (আগে ছিল ২৫ দিন) মধ্যে প্রশ্ন বিতরণ, ছয় থেকে বাড়িয়ে আট সেট প্রশ্নপত্র তৈরি করা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের সভাপতিত্বে সভাটিতে মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নতুন এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) এবার থেকে এমসিকিউ প্রশ্ন বাদ দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। পরীক্ষা নকলমুক্ত করতে এবং বিতর্কের বাইরে রাখতে সম্ভাব্য সব চেষ্টাই করা হচ্ছে।’

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক কর্মকর্তা জানান, পিইসি পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন বাদ দেয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাই একমত হয়েছেন। নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের বদলে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন দেয়া হতে পারে। এছাড়া আরও কিছু পরিবর্তন আনার বিষয়ে আলেচনা হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ফের বৈঠক ডাকা হয়েছে।

আগামী নভেম্বরে পিইসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এবছর থেকেই নতুন পদ্ধন্তিতে পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে জোরালো মতামত রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের কারণে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনীতে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন তুলে দিয়ে লিখিত প্রশ্নের পরীক্ষা নেয়া হবে।’