অবশেষে জামিন পেলেন খালেদা জিয়া

অবশেষে জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘ একমাসেরও বেশি সময় কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে চার মাসের অন্তর্বতী জামিন পেলেন তিনি। বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণার পর থেকেই নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে আছেন খালেদা।

আজ সোমবার দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে খালেদার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে আমরা জামিন আবেদন করেছিলাম। আবেদনের প্রেক্ষিতে চার মাসের অন্তর্বতী জামিন দিয়েছেন উচ্চ আদালত। নতুন করে কোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো না হলে তার মুক্তি পেতে আর কোনো বাঁধা নেই।’

এর আগে খালেদার জামিনের ওপর শুনানি করেন দুই পক্ষের আইনজীবীরা। খালেদার পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

রোববার আদেশের দিন ধার্য থাকার পরেও নথি না পৌঁছানোর কারণে জামিনের বিষয়ে আদেশের আজকে দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। গতকাল ১২টা ৫৬ মিনিটে নিম্ন আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি বিশেষ আদালতের দেয়া কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে খালেদার আপিল গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। আপিলের সঙ্গে তার পক্ষে জামিনের আবেদনও করা হয়। ওই দিন খালেদার জরিমানার দণ্ড স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে এ মামলায় বিচারিক আদালতের নথিগুলো জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুর্নীতির দায়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ আদালত-৫। ওই দিনই আদালত থেকে তাকে নিয়ে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় ১০ বছর এ মামলার কার্যক্রম চলার পর গত ফেব্রুযারি মাসের আট তারিখে বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছর এবং তার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানার আদেশ দেন ঢাকার একটি বিশেষ আদালত।