আপনি পড়ছেন

নেপালের কাঠমাণ্ডুতে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলার বিমানের কেবিন ক্রু শারমিন আক্তারের বেঁচে থাকা নিয়ে পরষ্পর বিরোধী খবর পাওয়া যাচ্ছে। বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের কোনো তালিকাতেই তার নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একইসাথে কেবিন ক্রু হিসেবে গণনা করা নতুন একজনের পরিচয় নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

cabin crew nabila

ইতোমধ্যেই দেশের বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যমে শারমিন আক্তারের বেঁচে থাকার সংবাদ বেরিয়েছে। কেবিন ক্রু শারমিন আক্তারের (ডাক নাম নাবিলা ফারহিন) বর্তমান অবস্থা নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। গতকাল থেকে নেপালের বিভিন্ন হাসপাতালের বরাতে উদ্ধারকৃত নিহত ও আহত যেসব আরোহীদের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে তাতে শারমিন আক্তার বা নাবিলা নামে কেউই নেই।

বাংলাদেশের পররাষ্ট প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও হতাহতদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন যেটিতে শারমিন আক্তারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো ওই তালিকায় ইউএস বাংলা বিমানটির কেবিন ক্রু হিসেবে একটি কাল্পনিক নাম জুড়ে দেয়া হয়েছে।

us bangla hospital crue list

তালিকায় কেবিন ক্রু হিসেবে খাজা হোসাইন ও কেএইচএম সাফে নামের দুইজনকে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ইউএস বাংলা কর্তৃক সরবরাহকৃত বিমানটির ৭১ জন আরোহীদের তালিকায় কেএইচএম সাফে নামে কোনো কেবিন ক্রুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তালিকায় শারমিন আক্তারের নাম কেবিন ক্রু হিসেবেই উল্লেখ রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কেএইচএম সাফে নামে আসলে কারও অস্তিত্ব নেই। প্রথম কেবিন ক্রু খাজা হোসাইনের পুরো নাম খাজা হোসাইন মোহাম্মদ সাফে। এই নামটিকেই সংক্ষেপে কেএইচএম সাফে লিখে দ্বিতীয় কেবিন ক্রু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এবার প্রশ্ন জাগে, মৃত এই ব্যক্তিটি যদি কেবিন ক্রু না হন তাহলে ইনি কে? লিঙ্গজনিত পার্থক্য থাকায় শারমিন আক্তারকে কোনোভাবেই কেএইচএম সাফে হিসেবে ভুল করা সম্ভব নয়। তাহলে ভুলক্রমে কি কোনো যাত্রীকেই কেবিন ক্রু কেএইচএম সাফে হিসেবে ধরা হচ্ছে?

এবার খোঁজ পড়লো চতুর্থ কেবিন ক্রু অর্থাৎ শারমিন আক্তার ওরফে নাবিলা ফারহিনের। আহত ও নিহত কোনো তালিকাতেই শারমিন আক্তার বা নাবিলা ফারহিন নামে কেউ নেই। কোথায় গেলেন ইউএস বাংলার এই কেবিন ক্রু? তাহলে কি পরিচয়হীন যে মরদেহগুলো আছে সেগুলোর কোনো একটাই শারমিন আক্তার?

us bangla crue list edited

নতুন করে চোখ বোলানো হলো ইউএস বাংলার প্যাসেঞ্জার তালিকায়। তারপর নেপালের হাসপাতাল থেকে পাওয়া হতাহতদের নাম পরিচয়ে। সাথে রইলো পররাষ্ট প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম কর্তৃক প্রকাশিত হতাহতদের তালিকা। তালিকায় পরিচয়হীন একজন নারীকে পাওয়া যাচ্ছে যাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইউএস বাংলা বিমানের কেবিন ক্রু শারমিন আক্তার নাবিলার বেঁচে থাকার সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। একইসাথে বিমানের কেবিন ক্রু হিসেবে খাজা হোসাইন ও কেএইচএম সাফের নামও প্রকাশ করা হচ্ছে। অপরদিকে হাসপাতাল থেকে সরবরাহকৃত প্যাসেঞ্জার তালিকায় শারমিনের নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে শারমিন আক্তারকে নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে শারমিন আক্তারের জীবিত থাকার বিষয়টি জোর দিয়ে নিশ্চিত করেছিলেন কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ ও টিচিং হসপিটালের একজন মুখপাত্র। তিনি জানিয়েছিলেন, ওই হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে শারমিন আক্তার চিকিৎসাধীন আছেন। কিন্তু পরবর্তীতে ড. শর্মিলা নামের একজন জানান, তাদের কাছে শারমিন নামে কেউ নেই। ঢাকার স্কলাস্টিকা স্কুলের শিক্ষিকা শাহরীন আহমেদকেই শারমিন বলে ভুল করা হয়েছিলো।

এটা এক প্রকার নিশ্চিত যে, শারমিন আক্তার বিমানটির চতুর্থ কেবিন ক্রু ছিলেন। তাহলে তার জায়গায় চতুর্থ কেবিন ক্রু ধরে নিয়ে কেএইচএম সাফে হিসেবে যাকে গণনা করা হচ্ছে তিনি আসলে কে? আর কেবিন ক্রু শারমিন আক্তার কোথায়?

unidentified

কাঠমাণ্ডু হাসপাতাল থেকে সরবরাহকৃত প্যাসেঞ্জার তালিকায় দেখা যায়, যে কয়েকজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় তাদের মধ্যে নাম-ঠিকানাহীন একটি নারীর মরদেহ রয়েছে। অপরদিকে এফ এইচ প্রিয়ক নামে এক পুরুষ যাত্রীর মরদেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে এমনটিও হতে পারে যে, বেওয়ারিশ ওই মরদেহটিই নিখোঁজ কেবিন ক্রু শারমিন আক্তার এবং কেএইচএম সাফে নামের যে মরদেহটিকে কেবিন ক্রু হিসেবে পরিচয় দেয়া হচ্ছে সেটি আসলে এফ এইচ প্রিয়কের মরদেহ।

উল্লেখ্য, সোমবার ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ৭১ জন আরোহী ছিলেন। ওই ঘটনায় ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুম থেকে বিমানের পাইলটকে ভুল বার্তা দেয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.