প্রধানমন্ত্রী: জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে এক ধাপ এগিয়ে গেলাম

আজ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশে। দেশের এমন অর্জনকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শনিবার বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাবার জন্মদিনে বাঙালি জাতিকে একটা সুখবর দিতে চাই। আজকের এই শুভদিনে বাংলাদেশ জাতিসংঘ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলো এই স্বীকৃতি আগেই অর্জন করলেও আজ আমরা সেটি অর্জন করলাম। এর মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলাম।’

বাংলাদেশকে আরও আগেই উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হতো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এর মধ্যেই তিনি দেশের উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। আরেকটু সময় পেলে আরো আগেই বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করতে পারতেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমরা দুই বোন বিদেশে ছিলাম বলেই সেদিন বেঁচে গিয়েছি। বিদেশে রিফিউজির মতো ছিলাম। বাবার স্বপ্ন পূরণে শেষ পর্যন্ত রাজনীতিতে এসেছি। দেশের উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করেছি।’

পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে একটানা দুই বছর কখনো বাবা কারাগারের বাইরে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারেননি। তিনি গভীরভাবে বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসতেন। আমরা পরিবারের সদস্যদের চাইতেও তার কাছে দেশ এবং দেশের মানুষ বড়।’

বঙ্গবন্ধুর লেখা কারাগারের রোজনামচা ও অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই দুটি পড়লে তার দেশপ্রেম এবং দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসার বিষয়টি বোঝা যাবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শিশুদের জাতির ভবিষ্যত হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি শিশুদের নিয়মিত পড়াশোনা করতে বলেন। শিশুরা যেন বিপথে না যায় সেজন্য অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।