নূন্যতম গণতন্ত্র নেই এমন দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'বেরটেলসম্যান স্টিফটুং'-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদণ্ড মানা হচ্ছে না। বিশ্বের ১২৯টি দেশের গণতন্ত্র, বাজার অর্থনীতি এবং সুশাসনের সার্বিক অবস্থা নিয়ে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি এ মন্তব্য করে।

শুক্রবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান বিশ্বের ৭১টি দেশ গণতান্ত্রিক এবং ৫৮টি দেশ স্বৈরশাসনের অধীন।

২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বেরটেলসম্যান স্টিফটুং গত ১২ বছর ধরেই গণতন্ত্র এবং সুশাসনের সার্বিক অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। এবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অনেক মুক্তচিন্তার দেশের সরকারও ক্রমশ কর্তৃত্বপরায়ন হয়ে উঠছে।

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠানটি বলে, বাংলাদেশ, লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া এবং উগান্ডা –এই পাঁচটি দেশ এখন আর গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদণ্ড মানছে না। বহু বছর ধরেই এই দেশগুলোতে গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করা হচ্ছিল।

এই দেশগুলোতে গণতন্ত্র ক্ষুন্ন হওয়ার মূল কারণও চিহ্নিত করেছে বেরটেলসম্যান স্টিফটুং। প্রতিষ্ঠানটির মতে, ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী ব্যবস্থার কারণেই এসব দেশে গণতন্ত্র এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দেশগুলোতে আদতে এখন 'স্বৈরতন্ত্র' চলছে। এই দেশগুলোতে নাগরিক অধিকার ক্রমশ খর্ব করা হচ্ছে, আইনের শাসন ভুলুন্ঠিত হচ্ছে।

বলা হয়, হন্ডুরাস, হাঙ্গেরি, মলদোভা, নিজার, ফিলিপাইন এবং তুরস্ক ধীরে ধীরে স্বৈরতান্ত্রিক দেশে পরিণত হতে চলেছে। তবে একইসাথে প্রতিবেদনে আর্জেন্টিনা, মরিশাস এবং উরুগুয়েতে উল্লেখযোগ্যভাবে গণতান্ত্রিক অগ্রগতি হচ্ছে বলে প্রশংসা করা হয়।

সমীক্ষা চালানো ১২৯টি দেশের মধ্যে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশকে রাখা হয়নি। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দেশগুলোতে ইতোমধ্যেই পরিণত গণতন্ত্র চলছে।

তালিকায় শীর্ষে রয়েছে উরুগুয়ে, এস্তোনিয়া এবং তাইওয়ান এবং তলানীতে রয়েছে সোমালিয়া, ইয়েমেন এবং সিরিয়া। বাংলাদেশের অবস্থান ৮০ নম্বরে। পাকিস্তান, মিয়ানমার যথাক্রমে রয়েছে ৯৮ ও ১০৪ নম্বরে। এই মাপকাঠিতে ভারতের অবস্থান বেশ ভালো। দেশটি ২৪ নম্বরে রয়েছে।

সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, বিবিসি বাংলা