আপনি পড়ছেন

২০১১ সালে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আওয়ামী লীগ সরকার। ফলে গত বছরের পাঁচ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। এ অবস্থায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ১৫৩জন এমপি। এরপর এই নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জাতীয় পার্টির নেতা খোন্দকার আবদুস সালাম। বিস্তারিত শোনানি শেষে তার রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আদালত জানান, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এমপিদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। একই সাথে নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হতে পারে তা নিয়েও নির্দেশনা দেন আদালত। বিশেষভাবে দুটি ফর্মুলাও দেয়া হয়।

Supreme Court of Bangladesh in Dhaka

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হাইকোর্টের প্রথম ফর্মুলায় বলা হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তিনিই ৫০জনের মন্ত্রীসভা গঠন করবেন। দশম সংসদের এমপিরা মন্ত্রীসভায় থাকতে পারবেন। কোন দলের কতো জন মন্ত্রী থাকবে, তা নির্ধারিত হবে মোট ভোটের মধ্যে কোন দল কতো শতাংশ ভোট পেয়েছে সেই অনুপাতে। এ ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে দশম সংসদ নির্বাচন বয়কট করা দলগুলো থেকেএ মন্ত্রী নেয়া যেতে পারে বলে অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট। সংবিধানের ৫৬(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এটা করা যাবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচজনকে নেয়া যাবে। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, অর্থসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কে হবেন তা লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এই ফর্মুলায় কেবল একাদশ সংসদ নির্বাচন নয়, হাইকোর্ট মনে করেন এই ফর্মুলা মেনে ভবিষ্যতের অন্যান্য নির্বাচনগুলোও করা যেতে পারে।

দ্বিতীয় ফর্মুলায় সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ক্ষমতা বন্টনের নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারের নির্ধারিত মেয়াদের প্রথম চার বছর ক্ষমতায় থাকবে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। শেষ বছর ক্ষমতা চলে যাবে প্রধান বিরোধী দলের হাতে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রধান বিরোধী দলকে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের অন্তত অর্ধেক ভোট পেতে হবে। সেটা না পেলে ক্ষমতা সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছেই থাকবে।

হাইকোর্ট বলেছেন, প্রথম ফর্মুলা অনুসরণ করার জন্য সংবিধানের কোনো ধরনের পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। তবে দ্বিতীয় ফর্মুলা গ্রহণ করতে হলে সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে।

হাইকোর্ট মনে করেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও মুক্ত নির্বাচন হলের রাষ্ট্রের অন্যতম সাংবিধানিক দায়িত্ব। সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে বা পরে সেটা করা যেতে পারে। একই সাথে হাইকোর্ট মনে করেন, নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হলো নির্বাচন বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা বজায় রাখা। নির্বাচন কমিশনকে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয়ার কথাও গুরুত্বসহকারে বলেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে নির্বাচনকালীন সরকার ও কোনো মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের অগ্রাহ্য করার ক্ষমতার সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন হাইকোর্ট। 

এ দিকে হাইকোর্টের এ রায়ের বিপক্ষে আপিল করতে পারেন রিট আবেদনকারী। এ বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া এমপিদের বৈধতার রিট খারিজ করে আদালত যে রায় দিয়েছেন, তা মনোযোগ দিয়ে দেখছেন রিট আবেদনকারী। এ রায়ের বিপক্ষে আপিল করবেন কি না তা নিয়ে পরবর্তীতে তারা সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানা গেছে। 

 

আপনি আরো পড়তে পারেন

মালয়েশিয়া যেতে খরচ হবে ৬০ হাজার টাকা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে সর্বোচ্চ ১৪ বছর জেল

বাড়ছে পাসপোর্টের মেয়াদ, সাথে ফি-ও

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.