কমনওয়েলথের ব্যাপক সংস্কারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রতিনিয়ত বিকশিত চাহিদা ও লক্ষ্য অর্জন এবং সদস্য দেশগুলোর প্রত্যাশা পূরণে কমনওয়েলথকে ব্যাপকভাবে সংস্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি দল করার পরামর্শ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ল্যাংকেস্টার হাউজে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের ২৫তম সম্মেলন সিএইচওজিএম-২০১৮’র প্রথম নির্বাহী অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কমনওয়েলথে ব্যাপক সংস্কার গ্রহণ করার জন্য আমরা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি দল (ইপিজি) গঠনের পরামর্শ দিচ্ছি।’

এছাড়া কমনওয়েলথের বিভিন্ন অংশের ভূমিকা ও কাজের বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা এবং পুনর্গঠন করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত বিকশিত চাহিদা এবং সদস্য দেশগুলোর প্রত্যাশা পূরণে কমনওয়েলথের বিভিন্ন অংশের ভূমিকা ও কাজের বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা ও পুনর্গঠন করা প্রয়োজন।’

এ জন্য তিনি চলতি কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের সম্মেলনে যে লক্ষ্যগুলো ঠিক করা হয়েছে তা অর্জনে সংস্থার সচিবালয়ে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথ মহাসচিবের কৌশলগত পরিকল্পনা ২০২০-২১ এবং টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০- এর প্রশংসা করেন।

বার্ষিক সরবরাহ পরিকল্পনা নেয়ায় কমনওয়েলথ সচিবালয়ের প্রশংসা করে শেখ হাসিনার পরামর্শ- উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহায়তার মতো বিষয়গুলোতে সচিবালয়ের মনোযোগ জোরদার করে যাওয়া দরকার।

এছাড়া যোগাযোগ, সাইবার নিরাপত্তা ও শাসনকার্য বিষয়ে কমনওয়েলথের যে ঘোষণা রয়েছে তা বাস্তবায়নে সচিবালয়কে কর্ম পরিকল্পনা তৈরির কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র, সুশাসন ও আইনের শাসন স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার মূল উপদান। আর সদস্য দেশগুলোর গণতন্ত্র, শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও সুশাসন উন্নয়নে সহায়তার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থার চেয়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালনই হলো সবচেয়ে ভালো উপায়।

আগামী প্রজন্মের জন্য দারিদ্রমুক্ত, প্রগতিশীল, সমৃদ্ধ ও স্বপ্নদর্শী কমনওয়েলথ জাতি গঠনে সরকার প্রধানদের ২৫তম সম্মেলন সংস্থাটিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।

ফাহাদ ফেরদৌস, ইউএনবি।