'ভুয়া সচিব’ সেজে বদলি, অতঃপর কারাগারে

চাঁদপুরে সিনিয়র সহকারী সচিব সেজে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে সরকারি কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি করার নামে অর্থ আত্মসাত করার মামলায় কামরুজ্জামান বাবু নকতি (৪৪) নামে এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার বিকালে পুলিশ চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করলে কামরুজ্জামান ১৬৪ ধারায় তার প্রতারণার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পরে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়ে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

এর আগে গতকাল শনিবার বিকালে চাঁদপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. মাহবুবুর রহমান মণ্ডল কামরুজ্জামানকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম এখলাসপুর নকতি বাড়ি থেকে আটক করেন। সে এখলাসপুর গ্রামের বদিউজ্জামান নকতির ছেলে।

চাঁদপুর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, সিনিয়র সহকারী সচিব পরিচয় দানকারী কামরুজ্জামান বাবু নকতি চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এলএলএসএস (মেম্বার অব লোয়ার সাবঅর্ডিনেন্ট স্টাফ) আবুল হোসেনকে অন্যত্র বদলি করার নাম করে তার কাছ থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়। আবুল হোসেনকে বদলির জন্য বিভিন্ন ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সেজে ওই কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করে সে। ওই কাগজপত্রের নিচে সচিবের নাম লেখা ছিল মো. ফজলুল হক। চাঁদপুর আদালত থেকে তার বদলির কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা যায় এটি ভুয়া পত্র।

সচিবালয়ে খোঁজ নিয়েও জানা যায়, এ নামে কোনো সিনিয়র সহকারী সচিব সেখানে নেই। তারই প্রেক্ষিতে গত ১৫ এপ্রিল ভুয়া সিনিয়র সহকারী সচিব বাবু নকতির বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা (নং ৩০) দায়ের করেন ভিকটিম আবুল হোসেন। এ মামলা তদন্ত করে চাঁদপুর মডেল থানার উপ পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান মণ্ডল দেখতে পান সিনিয়র সহকারী সচিব পরিচয় দান করে প্রতারণা করা হয়েছে। পরে বাবু নকতিকে আটক করা হয়।

এ ব্যাপারে উপ পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত শেষে যখন জানতে পারি যে ঘটনাটি ভুয়া তখন অভিযান চালিয়ে তাকে আটক ও পরে বিধি মোতাবেক আদালতে প্রেরণ করি। আদালতে বাবু নকতি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।’ ইউএনবি।