রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার

রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নৃশংসতার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্য একটি ‘জবাবদিহিতা সংক্রান্ত মন্ত্রী পর্যায়ের অ্যাডহক কমিটি’ গঠনের রেজ্যুলেশন গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুই দিনব্যাপী সম্মেলন।

রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত ৪৫তম সম্মেলনের শেষ দিন রবিবার গৃহীত রেজ্যুলেশন অনুযায়ী, মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটি জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করবে।

ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোর মানবিক চ্যালেঞ্জ ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আয়োজিত বিশেষ অধিবেশনে গাম্বিয়ার উত্থাপন করা এবং বাংলাদেশের সমর্থন জানানো এক প্রস্তাব অনুযায়ী এ রেজ্যুলেশন গ্রহণ করা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী সমাপনী অধিবেশন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘ঢাকা ঘোষণা’ হিসেবে গৃহীত রেজ্যুলেশনগুলো সম্পর্কে জানান।

ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসুফ বিন আহমাদ আল-ওথাইমিনও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এবং ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন আয়োজন করায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

মাহমুদ আলী জানান, সংস্থার ৫৩টি সদস্য, তিনটি পর্যবেক্ষক ও দুটি অতিথি দেশের প্রায় ৬০০ প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দেন। তাদের মধ্যে ২২ জন মন্ত্রী পর্যায়ের, ১৩ জন প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের, ছয়জন পররাষ্ট্র সচিব এবং রাষ্ট্রদূত বা মহাপরিচালক পর্যায়ের ১৬ জন প্রতিনিধি ছিলেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ৫২ জন প্রতিনিধিও সম্মেলনে যোগ দেন।

এর আগে শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এবারের সম্মেলনে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামজিক ও সাংস্কৃতিক দিক নিয়ে ১২০টির অধিক রেজ্যুলেশন গ্রহণ করা হয়েছে।

মূল সম্মেলনের পাশাপাশি প্রতিনিধিদলের প্রধান, ওআইসি মহাসচিব ও বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের মাঝে ৪০টির অধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।