বড়পুকুড়িয়া কয়লা খনিতে শ্রমিক ধর্মঘটের ডাক

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিকদের নিয়োগসহ ১৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে রোববারের মধ্যে পদক্ষেপ না নেয়া হলে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শনিবার দুপুরে এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বড়পুকুরিয়া খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম ও ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটির আহবায়ক মশিউর রহমান বুলবুল। ১৯ দফা দাবির মধ্যে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউয়িনের ১৩ দফা এবং খনিতে কয়লা উত্তোলনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের মানুষের ছয় দফা দাবি রয়েছে।

শ্রমিকদের ১৩ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- চুক্তি অনুযায়ী সকল শ্রমিকদের নিয়োগ প্রদান, প্রতি বছর শতকরা ৪০ শতাংশ দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ, সকল শ্রমিকদের ক্ষেত্রে গ্রাচুইটি প্রদান, আন্ডারগ্রাউন্ড শ্রমিকদের ছয় ঘণ্টা ডিউটি করানো ইত্যাদি।

কয়লা উত্তোলনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটির ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি গ্রামের বাড়ি-ঘরের দ্রুত স্থায়ী সমাধান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রত্যেক পরিবার থেকে খনিতে চাকরি প্রদান, এলাকার নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ইত্যাদি।

এ সময় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, উপদেষ্টা ও পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সুফিয়ান, সাবেক সভাপতি মো. ওয়াজেদ আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নূর ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন হোসেন, ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য মো. মিজানুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য মো. জাবেদ, মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম উপস্তিত ছিলেন। ইউএনবি।