কোন ধরনের স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১, কী কাজে ব্যবহৃত হবে?

নিজস্ব স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পুরোদমে সার্ভিস দিতে শুরু করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে নিজস্ব স্যাটেলাইট অর্জনকে মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নিয়ে জাতির উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি কোন ধরনের এবং এটি কী কী কাজে ব্যবহৃত হবে।

কক্ষপথে অবস্থান এবং প্রদক্ষিণ করার ধরন হিসেবে সাধারণত স্যাটেলাইট তিন থেকে চার ধরনের হয়ে থাকে। এগুলো হলো- ১. লো আর্থ অরবিট ২. মিডিয়াম আর্থ অরবিট ৩. জিওসিংক্রোনাস অরবিট এবং ৪. জিওস্টেশনারি অরবিট।

বঙ্গবন্ধু-১ জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট: এই স্যাটেলাইট সাধারণত ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৩৫,৭৮৬ কিলোমিটার উপরে অবস্থান করে। এগুলোর অধিকাংশই হয়ে থাকে যোগাযোগ স্যাটেলাইট। এটি পৃথিবীর সঙ্গে মিল রেখে ২৪ ঘণ্টায় একবার প্রদক্ষিণ করে। এ ধরনের স্যাটেলাইট বিষুবরেখার উপর স্থায়ীভাবে স্থির এবং তাদের পথ পৃথিবীর নিরক্ষীয় সমতলকে অনুসরণ করে।

কী কাজে ব্যবহৃত হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট: অধিকাংশ ভিডিও অথবা টেলিভিশন যোগাযোগ ব্যবস্থা জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট ব্যবহার করে থাকে। সে হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রধানত টিভি সিগন্যালের কাজেই ব্যবহৃত হবে।

ফোন যোগাযোগের ক্ষেত্রেও গুরুপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই স্যাটেলাইট। বিশেষ করে দুর্যোগকালীন সময়ে স্বাভাবিক ফোন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে স্যাটেলাইট যোগোযোগ ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। সাধারণ ফোন নেটওয়ার্কের বাইরে দুর্গম এলাকায় ফোন যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যাবে।

এছাড়া এই স্যাটেলাইট গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেট তথা জিপিএস-এর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে এটি স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম তথা স্যাট নাভস- এর জন্য ব্যবহৃত হয়।

সূত্র: বিবিসি, কোরা ডটকম, টেলিস্কোপ ডট অর্গ