এক মাসের মধ্যে পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষার নির্দেশ

বাংলাদেশের ৭৫ শতাংশের বেশি পাস্তুরিত দুধ অনিরাপদ এমন গবেষণা তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নিরাপদ পাস্তুরিত দুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার, ২১ মে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একই সাথে ‘নিরাপদ পাস্তুরিত দুধের নিশ্চয়তা দিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না’ এই মর্মে একটি রুল জারি করে চার সপ্তাহের মধ্যে তার জবাব দেয়ার জন্য বলেছেন আদালত। খাদ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিএসটিআই মহাপরিচালক, আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ও পুলিশ প্রধানকে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।

এর আগে বাজারের পাস্তুরিত দুধ নিয়ে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) গবেষণা প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। আদালতের আদেশের পর তানভীর আহমেদ বলেন, ‘বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’

তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে খাদ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব ও বিএসটিআইটি মহাপরিচালককে এ প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত আইসিডিডিআর,বি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী বাজারে থাকা ৭৫ শতাংশ পাস্তুরিত দুধ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এর অর্থ হচ্ছে জনস্বাস্থ্য নিরাপদ করতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা রয়েছে। যার ফলে সংবিধানের ১৫(ক), ১৮(১) ও ৩২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, সংবিধানের অনুচ্ছেদে ১৮ (১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘জনগণের পুষ্টির স্তর-উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনকে রাষ্ট্র অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য বলে গণ্য করবে এবং চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া মদ ও অন্যান্য মাদক পানীয় এবং স্বাস্থ্যহানিকর ভেষজের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।’ আগামী ২৭ জুন এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে।