ধানের ওপর দিয়ে যেতে বাধা, ৫ নারীকে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

শরীয়তপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে সদর উপজেলায় এক পরিবারের পাঁচ সদস্যকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার পালং মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কোয়ারপুর গ্রামে মারধরের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- ওই গ্রামের আবুল কালাম ঢালীর স্ত্রী সুইটি বেগম, মেয়ে লামিয়া আক্তার ও চাঁদনী আক্তার, ভাতিজি বৃষ্টি আক্তার ও অনামিকা আক্তার। আহত সুইটি, লামিয়া ও চাঁদনীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির উঠানে ধান শুকাতে দেন সুইটি বেগম। এ সময় শরীয়তপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান এরশাদ ধানের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেন সুইটি। এ নিয়ে তাদের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়।

ঘটনার জেরে রাত ৯টার দিকে এরশাদ তার লোকজন নিয়ে সুইটির ঘরে হামলা চালিয়ে পাঁচজনকে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।

সুইটি বেগমের স্বামী আবুল কালাম বলেন, ‘এরশাদ ছাত্রলীগ করে, সে আমাদের সব সময় ভয়ভীতি দেখায়। গতকাল সামান্য ব্যাপার নিয়ে সুইটির সাথে তার ঝগড়া হয়। পরে সে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ঘরে ঢুকে আমার স্ত্রী ও মেয়েদের মারধর করে।’

তবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা এরশাদ বলেন, ‘আবুল কালাম আমার চাচাতো ভাই। তার সাথে আমাদের বাড়ি নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। শুক্রবার বিকালে আমি বাড়িতে গেলে আবুল কালাম আমাকে মারার উদ্দেশে লোকজন নিয়ে হামলা করে। এ সময় আমি চিৎকার দিলে অন্যান্য লোকজন এগিয়ে আসলে সংঘর্ষ হয়। এতে আমার খালাতো ভাই অভি আহত হয়েছেন। সে সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।’

এ ব্যাপরে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলেও জানান এরশাদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মহসিন মাদবর জানান, এরশাদ যদি এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।