পরীক্ষার সার্বিক সময়সীমা কমিয়ে আনার নির্দেশ

পাবলিক পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত আলোচনা ও গুজব রোধ করার জন্য স্বল্প সময়ে পরীক্ষা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যদি পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনা যায় তাহলে (পরীক্ষা সংক্রান্ত) নানা আলোচনা ও গুজব কমে আসবে।’

বৃহস্পতিবার গণভবনে ২০১৮ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পরীক্ষা নিতে আপনারা অনেক সময় নিচ্ছেন। এবার ২ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয়েছে ২৪ মে। কিন্তু ফল প্রকাশে আপনারা তেমন বেশি সময় নেননি।’ তিনি আরো জানান যে তাদের সময়ে মাত্র সাত দিনে পরীক্ষা শেষ করা হতো।

স্বল্প সময়ের মাঝে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করায় শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট অন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এ বছরের পরীক্ষা ব্যবস্থা ‘খুব চমৎকার’ ছিল বলে প্রশংসাও করেন তিনি।

যথাযথভাবে পরীক্ষা আয়োজনে আন্তরিকভাবে কাজ করায় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে, বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁস শুধুমাত্র আমাদের দেশের একার সমস্যা নয়। মাঝেমধ্যে অনেক দেশেই এটা দেখা যায়। এ বিষয়ে ডিজিটালাইজেশন নিয়ে তার মত, সুফলের পাশাপাশি এ ব্যবস্থার কুফলও রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার কারিগরি শিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে, যা যুবদের দেশ ও বিদেশ উভয় জায়গায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। সরকার বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও যোগ করেন তিনি।

সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে চেষ্টা চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক মেধাবী, তাদের সদ্ব্যবহার করতে হবে।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা সবচেয়ে দামি সম্পদ এবং কেউ তা কেড়ে নিতে পারে না। ‘তাই তোমরা যদি জ্ঞান আহরণ কর তাহলে জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারবে।’

তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ও ভালো ফল করার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানান। সেই সাথে যারা সফল হতে পারেনি তাদের তিরস্কার না করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।

সেই সাথে শিক্ষার্থীরা যাতে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের সাথে জড়িয়ে না যায় তা খেয়াল রাখতে অভিভাবক, শিক্ষক, ইমাম ও অন্যান্য ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফল উন্মোচন করেন।