রাত পোহালেই বাংলার আকাশে আসছে ‘আকাশবীণা’

দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর শেষে রাত পোহালেই বাংলার আকাশে আসছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত সম্পূর্ণ নতুন বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘আকাশবীণা’। ১৯ আগস্ট, রোববার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বিমানটির প্রথম ড্রিমলাইনার।

আকাশবীণার অন্তর্ভূক্তির মধ্যদিয়ে বিমান বহরে মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা হচ্ছে ১৫টি। জানা গেছে, দেশে মাটিতে ল্যান্ড করার পর ড্রিমলাইনারকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে মোট চারটি ড্রিমলাইনার যুক্ত হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগুলোর নাম দিয়েছেন আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।

এর আগে গত বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) ইনামুল বারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানিটির এভারেট ডেলিভারি এবং অপারেশন্স সেন্টারে যায়। তবে আগামী ১ ১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্লাইটটির উদ্বোধন করবেন। ওইদিনই প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট হিসেবে ভাগ্যবান ২৭১ যাত্রী নিয়ে উড়বে কুয়ালামপুরের উদ্দেশে রওনা হবে অত্যাধুনিক এই ফ্লাইটটি।

জানা গেছে, ২০০৮ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান কেনার জন্য চুক্তি করে। যার মূল্য ছিল ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলার। ইতোমধ্যে বিমানের বহরে চারটি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ও দুটি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে। বাকি চারটি উড়োজাহাজ হচ্ছে অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার।

বহুল আলোচিত আকাশবীণায় মোট আসন সংখ্যা থাকছে ২৭১টি। যার মধ্যে বিজনেস ক্লাসের সিট ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসের যাত্রীরা ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধাসহ আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। আর সকল যাত্রীর জন্য ইন্টারনেট ও ফোন কলের সুবিধা থাকবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর ড্রিমলাইনারের প্রথম ফ্লাইটটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন রাতে ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাবে বিমানটি। অত্যাধুনিক ড্রিমলাইনার দিয়ে প্রাথমিকভাবে ঢাকা-সিঙ্গাপুর ও ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট চলাচল করবে।'