প্রচণ্ড তাপদাহ: হিটস্ট্রোকে চাঁপাই-কুড়িগ্রামে নিহত ৬

বিগত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে উচ্চ তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হচ্ছে। এরমধ্যে গরমের কারণে হিটস্ট্রোকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫ জন এবং কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় একজন মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় গতকাল শনিবার ও রোববার প্রচণ্ড গরমে ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম (৪০), ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের জামাল উদ্দিন (৫২), পাঁকা ইউনিয়নের আবদুল মালেক (৪০), সদর উপজেলার শামসুল হক (৭০) ও উজিরপুর ইউনিয়নের ইফসুফ আলী (৪০)।

স্থানীয়রা বলছেন, শনিবার মোবারকপুর ইউনিয়নের একটি ব্যাংকে বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলনের জন্য সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ালে রোদের তাপ বৃদ্ধি ও অসহনীয় গরমে শামসুল হক পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্যদিকে উজিরপুর ইউনিয়নের ইফসুফ আলী শনিবার কোরবানির গরু কিনে বাড়ি ফেরার পরপরই মারা যান।

চিকিৎসকরা বলছেন, রোদ ও গরমের কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন তারা।

পৌর এলাকার শরিফুল ইসলাম মাছ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে মারা যান। রোববার জামাল উদ্দিন গরমে অতিষ্ট হয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। পাঁকা ইউনিয়নের আবদুল মালেক প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোক করে মারা যান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিগত কয়েকদিন ধরেই ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। রোদের কারণে ফসলী মাঠঘাটে কাজ করতে পারছেন না কৃষকরা। গরমের মধ্যে ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে আরো দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে।

এগিকে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরীতে হিটস্ট্রোকে আলোমতি (১২) নামের এক কিশোরী মারা যান। জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।