আপনি পড়ছেন

পণ্যের উপাদান এবং মান পরীক্ষা করার জন্য কোনো ল্যাবরেটরি নেই, নেই কোনো দক্ষ জনবল, তারপরও বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন পণ্যকে ‘হালাল’ বলে সার্টিফিকেট দিয়ে যাচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)। কোনো পণ্যকে ইফা এভাবে ‘হালাল’ সনদ দিতে পারবে কি না এ নিয়েও এখন পর্যন্ত কোনো আইন তৈরি হয়নি বলে জানা গেছে।

islamic foundaton logo

সম্প্রতি দেশের একটি অনলাইন পত্রিকার অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা যায়। পত্রিকাটি জানায়, কোনো পণ্যকে ‘হালাল’ সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যে বিভাগ রয়েছে তাতে মাত্র তিনজন ব্যক্তি কাজ করেন।

এই তিনজনের মধ্যে একজন পরিচালক, একজন মুফাসসির (কোরআনের ব্যাখ্যাকারী) কাম উপ-পরিচালক এবং একজন সহকারী পরিচালক কাম ডেস্ক অফিসার। এদের কারোরই পণ্যের গুনগত মান পরীক্ষা করার যোগ্যতা নেই। তারপরও এখন পর্যন্ত ৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শতাধিক পণ্যকে ‘হালাল’ বলে সনদ দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

islamic foundation halal

কোনো পণ্যকে ‘হালাল’ বলে সনদ দেয়ার পর ওই পণ্যের গুনগত মান পরবর্তীতে ঠিক থাকছে কি না তা মনিটরিংয়ের জন্য যে লোকবল প্রয়োজন তার কিছুই নেই ইফা’র। সুতরাং ‘হালাল’ সনদ পাওয়া পণ্যগুলোর বর্তমানে কী অবস্থা সে ব্যাপারে এক প্রকার অন্ধকারেই আছে সংস্থাটি। শুধুমাত্র এসব কারণেই বিশ্বের অন্যান্য দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দেয়া এই ‘হালাল’ সনদের কোনো গ্রহণযোগ্যতাই নেই বলে জানা গেছে।

তবে এইভাবে ‘হালাল’ সনদ দেয়ার বিপরীতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। হালাল সনদ দেয়া খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে কারখানার বিক্রয় মূল্যের শতকরা ৮ পয়সা হারে কোম্পানিগুলো ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে দিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে পাবনার বেঙ্গল মিটকে প্রথম হালাল সনদ দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘হালাল’ সনদের সাথে মানুষের ধর্মীয় মানসিকতা জড়িত থাকে। উপযুক্ত পরীক্ষাগার, পণ্যের উপাদানের ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা ও দক্ষ গবেষক ছাড়া এই ধরণের হাস্যকর সনদ দেয়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কোনোভাবেই উচিত নয়। বরং সংস্থাটির প্রধান যে কাজ- ইসলাম প্রচার, সেটিই করা উচিত তাদের।

জানা গেছে, হালাল সনদ দিতে ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের অনুমোদন দেয়া একটি নীতিমালা থাকলেও ছয় বছর আগে সেটিকে আইনে রূপান্তর করার উদ্যোগ এখনও আলোর মুখ দেখেনি।

এ ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হালাল সনদ বিভাগের মুফাসসির ও উপ-পরিচালক মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী ওই অনলাইন পত্রিকাটিকে বলেন বলেন, হালাল সনদ দিতে আমাদের নীতিমালা রয়েছে। ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের অনুমোদনে এটি ২০১৫ সালে করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন অ্যাক্ট সংশোধন করে হালাল সনদ দেয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্তের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর এটি পার্লামেন্টে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা যত্নের সঙ্গে সনদ দেয়ার চেষ্টা করি। তবে যারা রফতানি করে তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সনদ দেই। রিকয়ারমেন্ট ফুলফিল না হলেও আমরা শর্ত-সাপেক্ষে সনদ দিয়ে তাদের সহযোগিতা করছি।

তিনি জানান, আগারগাঁওয়ে ফাউন্ডেশনের হেড অফিসের ১০ তলায় একটি ল্যাবরেটরি উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখানে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকার মতো যন্ত্রপাতি রয়েছে। তবে এখনও এই লাইব্রেরি যথাযথ মানে উন্নীত করা যায়নি।

এদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘হালাল’ সনদ দেয়ার ব্যাপারে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর পরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হালাল সনদ দেবে কেন? এই কাজের জন্য আলাদা একটা বডি হওয়া উচিত। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ছাড়া সনদ দেয়া কতটুকু হালাল এটাও একটি প্রশ্ন?

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.