খালেদা জিয়ার যাবজ্জীবন চায় দুদক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রান্ত খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়েছে দুদক। পাঁচ বছর সাজার বদলে বিএনপি চেয়ারপারসনের যাবজ্জীবন সাজার দাবি করেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সাজা বাড়ানোর বিষয়ে করা আবেদনের যুক্তিতে এই দাবি তোলেন তিনি।

তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাঁচ বছরের সাজাই বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন। আদালতে আজ দুদক পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষের অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম।

খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী। তবে সময় চেয়ে আবেদন করার পর সাড়া না পেয়ে আদালত থেকে বের হয়ে যান তিনি। পরে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মিলে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। আসামিপক্ষের করা সময় আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামীকাল বুধবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, যুক্তিতর্কে দুদকের পক্ষ থেকে আমরা সাজা যাবজ্জীবন চেয়েছি। আইন অনুযায়ী বিচারিক আদালতের ৫ বছর সাজা দেয়া ঠিক হয়নি।

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত যে সাজা দিয়েছেন তা সঠিকভাবেই দিয়েছেন। ওই সাজা যাতে বহাল থাকে আমি সেই মর্মে আদালতের কাছে প্রার্থনা করেছি। এই রায়ের বিরুদ্ধে সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আবেদন করেছে দুদক। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আবেদন করিনি। ফলে সাজা বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনো বক্তব্য রাখার সুযোগ আমার ছিল না।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।