সরকারি নীতিমালায় ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত!

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা নীতিমালায় অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়ার পর তা বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, স্বীকৃতি, পরিচালনা, জনবল কাঠামো ও বেতন-ভাতাদির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে এতে চারটি শর্তও যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন এ নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে মাদ্রাসার সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত হবে।

জানা গেছে, এ নীতিমালায় মহানগর এলাকায় এক কিলোমিটার, পৌরসভায় দেড় এবং মফস্বলে দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটির বেশি মাদ্রাসা থাকতে পারবে না। থাকলে সেসব মাদরাসাকে একীভূত করার কথা বলা হয়েছে। মাদ্রাসার ক্ষেত্রে বাজেটের ভারসাম্য আনতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

সূত্র বলছে, নতুন এই নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে মাদ্রাসার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এছাড়া এতে শিক্ষকদের বেতন-ভাতাও বাড়বে। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকরা ২৫শ’ এবং সহকারী শিক্ষকরা ২৩শ’ টাকা করে সম্মানী পান। এ নীতিমালায় প্রধান শিক্ষকদের ২৪০ শতাংশ ও সহকারী শিক্ষকদের ২১৭ শতাংশ সম্মানী বাড়াানোর কথা বলা হয়েছে।

এমপিওভুক্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকরা মাসে ১০ হাজার ৩৮৮ টাকা এবং সহকারী শিক্ষকরা মাসে নয় হাজার ৯৮৮ টাকা হারে বেতন-ভাতা পান।

বর্তমানে দেশে দুই ধরনের ইবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। এর একটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী এবং অন্যটি দাখিল বা এর উচ্চতর মাদরাসার সঙ্গে সংযুক্ত। সরকারি হিসাবে দেশে তিন হাজার ৪৩৩টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানে ১৫ হাজার ২৪৩ শিক্ষক কর্মরত।

প্রস্তাবিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাদ্রাসা স্থাপনে অনুমতি দিবে মাদরাসা বোর্ড। তবে এর আগে সরকারের অনুমোদন নিতে হবে বোর্ডকে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি চলবে। পরিচালিত হবে সহশিক্ষাক্রম কার্যক্রম। এছাড়া মহানগর, পৌর ও শহর এলাকার মাদ্রাসায় প্রতি শ্রেণিতে ২০ জন সহ সর্বনিম্ন ২০০ শিক্ষার্থী থাকতে হবে। আর মফস্বলের প্রতি শ্রেণিতে ১৫ জনসহ কমপক্ষে ১৫০ শিক্ষার্থী থাকতে হবে। এক্ষেত্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়া, পাশের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট হার নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

নীতিমালায় মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, জমি রেজিস্ট্রি, প্রতিষ্ঠানের নামে স্থায়ী আমানত, ভবন নির্মাণ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট প্রস্তবনা উল্লেখ করা হয়েছে।