নির্বাচনে অংশ নিতে জামায়াতের ‘ভিন্ন কৌশল'

সম্প্রতি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের আর কোনো সুযোগ নেই এই দলটির। যার ফলে নির্বাচনে অংশ নিতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে যাচ্ছে জামায়াত।

দলটির সর্বোচ্চ-নীতি নির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিমও এমনটিই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে কী কৌশলে অংশ নেবে সেটা এখনই বলা কঠিন।

বিএনপির সাথে মিলে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আসন ভাগাভাগির বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ২০০৮ সালে বিএনপি আমাদের ৩৪ আসন দিয়েছিল। এবার তার চেয়ে বেশি আসন প্রত্যাশা করছি। দুই-একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, তাহলে তারা কীভাবে নির্বাচনে অংশ নিবে- এমন প্রশ্নে মাওলানা আব্দুল হালিম জানান, নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় দল হিসেবে যেমন জামায়াতের নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ নেই, তেমনি প্রতীক নিয়েও ভোটে দাঁড়ানোর উপায় নেই। এক্ষেত্রে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হবে।

দলটির শীর্ষ পর্যায় বলছে, এই কৌশল হবে স্বতন্ত্র প্রার্থিতার কৌশল। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের অনেকেই জানান, আপাতত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। যদিও চূড়ান্ত কৌশল এখনই প্রকাশ করতে চাইছেন না তারা। শেষ মুহূর্তেও দলটির কৌশল পরিবর্তন হতে পারে।

ইতোমধ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের তিন নেতা- চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মনোনয়নপত্র সংগ্রহও করেছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির এক শীর্ষ নেতা বলেন, অন্তত অর্ধশত আসনে আমাদের শক্তিশালী ক্যান্ডিডেট আছেন। সেক্ষেত্রে জোটের কাছে আমরা ৫০-৬০ আসন চাইবো। না হলে আমরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করবো। শেষ দেখতে আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।