ধানের শীষেই নির্বাচনে যাবে ঐক্যফ্রন্ট!

জোটগতভাবে নির্বাচন করলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতীক 'ধানের শীষ' হবে বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। জোট নেতারা কয়েক দফা মিটিং করে বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে বলে জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে বৈঠকে বসেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এতে সভাপতিত্ব করেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওই তথ্য জানান মান্না।

মান্না আরও বলেন, 'সরকারি দল নির্বাচন না পেছাতে নির্বাচন কমিশন কে হুমকি দিচ্ছে। আমরা যখন সরকারের সঙ্গে দেখা করি প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই বলেন, নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা নির্বাচন কমিশনারের কাছে গিয়ে যা বলেছি নির্বাচন পেছানোর জন্য তাতে অসংখ্য যুক্তি আছে। বিশেষ করে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে সারা ইউরোপ আমেরিকায় উৎসব হয়। এখানে আমাদের পর্যবেক্ষকদের আসার কথা থাকলেও তারা আসতে পারবেন না। এতে সারাবিশ্ব থেকে এক ধরনের বিচ্ছিন্ন করে ভোট করার এই প্রচেষ্টা ঠিক নয়। সরকারি দল বলেছে নির্বাচন এক ঘণ্টাও পেছানো যাবে না, যা এক ধরনের হুমকিস্বরূপ। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি।'

গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি বলেন, 'বুধবার বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ বাহিনীর নির্মম হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। একদিকে সরকার পক্ষ চারদিন ধরে সমস্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে একটি উৎসব করলো। সেই উৎসবের ফসলে দুজন মারা পর্যন্ত গেলো। তখন পুলিশ কোন কিছু করেনি৷ অথচ এদিকে দেখা গেলো, বিরোধীদল বিএনপির মনোনয়নপত্র বিতরণ উপলক্ষে যখন নেতাকর্মীরা জমা হয়েছে তার একদিন আগে নির্বাচন কমিশন সড়ক পরিষ্কার রাখতে বিবৃতি দিলেন এবং তার পরদিনই এই হামলা হলো। আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত ছিল।'

মান্না বলেন, 'আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, এই হামলার পর পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য সরকারি দলের হাত আছে। অসমর্থিত কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য খবরে জানা গেছে যে, যুবলগী, ছাত্রলীগের কর্মীরা হেলমেট পড়ে নয়াপল্টনে তৎপর ছিল। এই সেই হেলমেট বাহিনী আমরা কোটা আন্দোলনোর সময় দেখেছিলাম। আমরা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছি ও নিন্দা জানাই।’

ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছি সরকার চেষ্টা করছে, বিরোধীদল যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই উস্কানি দিচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করবো। আমাদের সিদ্ধান্ত সব রকমের বাধা উপেক্ষা করে নির্বাচন করবো। সেই নির্বাচনে একটা ভোট বিপ্লব হবে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে।’

তিনি আরও বলেন, 'জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন- তার চিন্তা সরকারি দলের না করলেও চলবে।'

নির্বাচনে আসন ভাগাভাগির প্রশ্নে মান্না বলেন, 'আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়নি।'