নৌকা-ধানের শীষের স্লোগানে মুখর চারপাশ

সারাদেশে এখন নির্বাচনী আবহ বইছে। সোমবার প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় নেমেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি জোটের পাশাপাশি বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ভোটারদের পেছনে পেছনে ছুটছেন সবাই। কর্মী-সমর্থরা পোস্টার লাগানোতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

তবে নির্বাচনের মাঠে নেমেই গ্রেপ্তার ও হামলার অভিযোগ করেছে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি। নির্বাচনের আগেও তারা এমন অভিযোগ করেছিল। দলটির দু-একটি অভিযোগ ছাড়া প্রচারণা শুরুর দিনটি উৎসবমুখরভাবেই কেটেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার কয়েকটি আসনেও প্রতীক পেয়েই নৌকা ও ধানের শীষের কয়েকজন প্রার্থী প্রচারণা চালিয়েছেন।

সবচেয়ে উৎসবমুখরভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তার পক্ষে বিশাল মিছিল হয়েছে। এতে অংশ নেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকশ নেতাকর্মী।

এছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরে পক্ষে নোয়াখালী-৫ আসনের কবিরহাটে প্রচারণা চালানো হয়েছে। সেখানে স্বয়ং কাদের উপস্থিতি ছিলেন।

এদিকে কবির হাটে গতকাল বিএনপি প্রার্থী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদের নির্বাচনী প্রচারণার ট্রাকে হামলা হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

প্রতীক পেয়েই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা। নির্বাচনী মিছিল ও শোডাউন হয়েছে সুনামগঞ্জে। এছাড়া, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার, লালমনিরহাট, রংপুরসহ সারা দেশেই প্রচার শুরু করেছেন প্রার্থীরা।

এদিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারিতে বিএনপি প্রার্থী ইসহাক চৌধুরীর বাড়িতে উঠান বৈঠকের সময় ১৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাটোরের লালপুরে বিএনপির নির্বচনী গাড়িতে হামলা হয়েছে।

প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মনোনয়ন আগে থেকেই নিশ্চিত হওয়ায় প্রার্থীরা আগে থেকেই প্রেসে পোস্টার ছাপাতে দেয়। সোমবার প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই দ্রুত দলীয় প্রতীকের ব্যানার, ফেস্টুন, হ্যান্ডবিল নিয়ে প্রচার শুরু করেন তারা।

এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ২৭২ এবং ধানের শীষে ২৯৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও এরশাদের লাঙ্গল প্রতীকে ১৪৮, চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলনের হাত পাখা প্রতীকে ২৯৯ জন প্রচারণায় নেমেছেন।

এছাড়াও ৯৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী বরাদ্দকৃত প্রতীক এবং বাম ও অন্যান্য দলের প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচনের মাঠে আছেন।

৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৫৮ প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। বাকি ৪২টি আসন মহাজোটের শরিকদের ছেড়ে দিয়েছে দলটি। অপরদিকে বিএনপি ২৪১ প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ছেড়ে দিয়েছে ৫৯ আসন।