বিচারপতির প্রতি অনাস্থা, খালেদার আইনজীবীদের আদালত ত্যাগ

আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের বিষয়ে দায়ের করা পৃথক তিনটি রিট নিষ্পত্তির শুনানি হওয়ার কথা ছিলো আজ। কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বিচারপতির প্রতি অনাস্থা জানানোয় তা আবার পিছিয়ে গেলো।

খালেদা জিয়ার শুনানি হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন একক বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বিচারপতির প্রতি অনাস্থা জানিয়ে খালেদার জিয়ার আইনজীবীরা আদালত থেকে বেরিয়ে গেলে সোমবার পর্যন্ত আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ এবং মো. ইকবাল কবিরের দ্বৈত বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেন। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রুলসহ মনোনয়নপত্র গ্রহণের আদেশ দিলেও বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির তা নাকচ করেন।

এরপর পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পাওয়ার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন রায়ের জন্য গতকালই তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে দেন।

এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার আইনজীবী বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, এই আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা নেই। সৈয়দ রেফাত আহমেদ ছিলেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। সুপ্রিমকোর্টের বিধান হলো, একজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি যদি কোনো মামলার শুনানি করেন তবে জুনিয়র কোনো বিচারপতি ওই মামলায় আর শুনানি করতে পারবেন না। সেই জন্য এই আদালতের প্রতি অনাস্থা জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা তিন আসনের মনোনয়নপত্রই বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ৮ ডিসেম্বর নামঞ্জুর করে ইসি। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে গত রোববার পৃথক তিনটি রিট করেন খালেদা জিয়া।