স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ২৪ ডিসেম্বর থেকে সেনা মোতায়েন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পুলিশ-র‍্যাবের পাশাপাশি ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটের মাঠে কাজ করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

জাতীয় নির্বাচনে সার্বিক পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে করে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের উত্থাপিত কার্যবিবরণীতে এসব তথ্য জানা গেছে। বৈঠকে কমিশনের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ছাড়াও অন্যান্য কমিশনার ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ বজায় রাখতে এবার পুলিশ, র‌্যাব ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে সেনাবাহিনী। এছাড়াও প্রতি জেলায় ছোট আকারে সেনাবাহিনীর একটি টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিশন মূলত দেশের ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনা করে, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিবেদন লক্ষ্য করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কার্যপত্র অনুযায়ী, ভোট কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। আর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহল দেবেন র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। তবে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে বা ভোট গণনা কক্ষে তারা ঢুকতে পারবেন না। রিটার্নিং বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের অনুমতি সােপেক্ষে স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিমের সদস্যরা প্রয়োজন হলে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন।

ইসির পরিকল্পনা মতে, ভোট কেন্দ্রের পাহারায় মেট্রোপলিটন এলাকার সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশের মোট ১৬ জন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এর মধ্যে পুলিশ ৩/৫ জন, আনসার ১১ জন ও গ্রাম পুলিশ একজন। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো অস্ত্রসহ ৪/৬ জনসহ মোট ১৭ জন নিযুক্ত থাকবেন।

অন্যদিকে মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশের মোট ১৪ জন সদস্য থাকবেন। পার্বত্য এলাকা, হাওর, দ্বীপাঞ্চলের মতো বিশেষ এলাকায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ১৫ জন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এসব এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে মোট ১৬ জন থাকবেন।

ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা ভোট গ্রহণের দুইদিন আগে থেকে মোট চারদিন মাঠে থাকবেন। এছাড়া সেনাবাহিনী ২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোনোদিন মাঠে নামার কথা। তবে ১৫ ডিসেম্বর থেকে তারা পরিস্থিতি অবলোকন (রেকি) করবেন।সেনাবাহিনীর প্রত্যেক টিমের সঙ্গে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।