ড. কামাল: ৩০ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থান

আগামী ৩০ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থানের দিন এমন মন্তব্য করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিশ্বাস করে, সেদিন দলে দলে জনে জনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে, ভোট দেবে, কেন্দ্রে অবস্থান করে ভোটের অনিয়ম রুখবে, ভোট শেষ হওয়ার পর নিজেদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া দেখে বাড়ি ফিরবে। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে এক গণঅভ্যুত্থানের দিন হবে ৩০ ডিসেম্বর।’

ড. কামাল হোসেন আজ সোমবার ঢাকার পূর্বাণী হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইশতেহার ঘোষণাকালে এমন মন্তব্য করেন।

এ সময় নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের বক্তব্যকে সমর্থন করে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মতো আমরাও বলতে চাই, এ রাষ্ট্রের মেরামত প্রয়োজন। প্রায় এক যুগ পর দেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পস্থিতিতে বলা যায়, এ নির্বাচন আদৌ অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে কি হবে না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ শঙ্কিত করছে।’

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘ওই নির্বাচন প্রহসন ছিল, তারা সংবিধানে বর্ণিত জনগণের ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা মানেনি, বরং সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক কাজ করেছিল। ফলে জনগণ রাষ্ট্রের মালিকানা হারিয়েছে। জনগণের হাতে যখন রাষ্ট্রের মালিক থাকে না, তখন কায়েমী স্বার্থবাদী দেশি-বিদেশি নানা গোষ্ঠীর হাতে রাষ্ট্রের মালিকানা চলে যায়। এর মাশুল দিচ্ছে দেশের মানুষ।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণ ফেরৎ পাবে কি না, সেটা নিশ্চিত হবে আগামী নির্বাচনে। যদি রাষ্ট্র মালিকানা জনগণ ফেরত পায়। তখনই জনগণের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ নিশ্চিত হবে।’

নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহারের বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ জন্য যে, আমরা জনগণের ইশতেহার ঘোষণা করছি। এটা জনগণের কল্যাণে, জনমতের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।’

ইশতেহার ঘোষণার এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির প্রধান আব্দুর রব, ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী, সুব্রত চৌধুরী, রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।