সাভারে আ. লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, বিএনপির ৪ নেতাকর্মী আটক

সাভারে নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির চার নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় আমিনবাজারের হিজলা মহল্লায় ঢাকা-২ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমির নির্বাচনী প্রচারণার সময় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, সকাল থেকে আমিনবাজারের হিজলা মহল্লায় ইরফান ইবনে আমান নেতা-কর্মীদের নিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন। এসময় আমিনবাজারের স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার রাসেল শুভসহ বিএনপির চার নেতা-কর্মীকে আটক করে। আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জামাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির চার নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ইরফান ইবনে আমান বলেন, ‘পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ নেতা আমিন বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আখিল খন্দকার ও আওয়ামী লীগ নেতা রকিব আহম্মেদের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আহত হন। এছাড়া বিএনপি সমর্থকদের তিনটি মোটরসাইকেল ও চারটি হাইয়েজ গাড়ি ভাঙচুর করে তারা।’

ইরফান ইবনে আমান: হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা করা হয়েছে

এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের ছেলে ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অভিযোগ করেছেন, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই নির্বাচনী প্রচারণার সময় হামলা চালানো হয়েছে। তিনি নির্বাচন কমিশনে এই হামলার বিচার দাবি করেছেন।

সোমবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার কাছে লিখিত অভিযোগে অমি জানান, 'সোমবার সাভার উপজেলার আমিন বাজারে গণসংযোগ চালাতে গেলে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলাটি চালানো হয়। এসময় ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর ও লাঠিচার্জ করা হয়। এতে অনেক নেতাকর্মী আহত হন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।’

নির্বাচন কমিশনে অভিযোগের পাশাপাশি তিনি তার কর্মী সমর্থকসহ সকল গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি আহত কর্মীদের সুচিকিৎসা ও গাড়ি ভাংচুরের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। এর আগেও জীবনের নিরাপত্তা বিষয়টি নিশ্চিত করতে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে কমিশনে একাধিকবার আবেদন করেছিলেন অমি।