পাঠ্যপুস্তকে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশের নাম হিসেবে ভাটিক্যান সিটির নাম উল্লেখ করা হলেও আসলে তা সম্পূর্ণ সত্য নয়। বিশ্বে এমনও একটি দেশ আছে যেখানকার অনুমোদিত জনসংখ্যা মাত্র তিনজন তবে জনসংখ্যার পরিমান ২৭ জন বলেও দাবি করা হয়। দেশটির মোট আয়তন মাত্র ৫৫০ স্কয়ার মিটার। জাতীয় পতাকা, নিজস্ব মুদ্রা, এমনকি রাজধানীও আছে দেশিটির।

principality of sealand 01

বিশ্বের দরবারে সবচেয়ে ছোট এই দেশটির নাম 'প্রিন্সিপালিটি অব সিল্যান্ড'। একসময় এটি বৃটিশ দ্বীপের সমুদ্রবন্দর ছিল। এখন আলাদা দেশ হিসেবে এর রয়েছে পাসপোর্টও। জানলে অবাক হবেন, রাজা, রানী আর রাজপুত্র মিলিয়ে সাকুল্যে ক্ষুদ্র এই দেশের জনসংখ্যা এই তিনজনই! আর তারা সকলেই বেটস বংশেরই উত্তরসূরী।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ইংল্যান্ডের দূর্গ হিসেবে যে সমুদ্র বন্দরটি ব্যবহার করা হতো সেই বন্দরটিই আজকের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম দেশ 'প্রিন্সিপালিটি অব সিল্যান্ড'। এই দেশটিতে রয়েছে নিজস্ব রাজধানী, ভাষা ও মুদ্রা। তবে সিল্যান্ড ডলার নামের এই মুদ্রা অন্য যেকোন দেশেই অচল।

প্রচলিত ইংরেজি ভাষার এই দেশের রাজধানীর নাম এইচ এম ফোরট রাফস। বৃটেনের সাফল্ক সমুদ্রের ধারে প্রায় দশ কিলোমিটার ভিতরে অবস্থিত এই বন্দরটি যুদ্ধের পর পরিত্যক্ত হলে ষাটের দশকে দ্বীপটি কিনে নেন একজন মেজর। প্যাজড রয় বেটস নামক সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা তার দ্বীপটিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষনা করলে এটিই পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে স্থান পায়। যদিও বিশ্বের মানচিত্রে ক্ষুদ্রতম এই দেশটির স্থান হয়নি, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি তথাপি এতো ক্ষুদ্র একটি রাষ্ট্রের কেউ বিরোধিতাও করেনি।

Discover extraordinary stories from around the world with our exceptional news coverage. From uplifting human interest stories to groundbreaking scientific discoveries, we bring you the best of the best. Stay informed about the latest breakthroughs in technology, medicine, and beyond, and explore the world's most fascinating cultures and communities. Get inspired and informed with our exceptional news coverage.