মশা মারতে কত কিছুই না হল। একে একে আসলো মশারি, স্প্রে গ্যাস, ইলেকট্রিক ব্যাট, তবুও মশার উপদ্রব যেন কিছুতেই কমছে না। রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশন মাঝে-মধ্যে মশা মারতে কামান দাগান। বিশেষ এক কামানের নল সদৃশ এক যন্ত্র দিয়ে ঠা ঠা করে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দিয়ে মশাদের বংশ নির্বংশ করে ছাড়েন!

light trap of killing masha

কিন্তু এসবের কোনটাই নয়, মশা মারতে এবার নতুন এক ফন্দি এঁটেছে মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ আলোর ফাঁদ পেতে তারা মশা মারার এক অভিনব পদ্ধতি বের করেছেন। ফাঁদটি দেখে প্রথমে মনে হতে পারে, পার্কে সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে কোনও বাতি জ্বলছে।

আসলে ওই আলোগুলো যখন জ্বলে, তখন তা থেকে নির্গত হয় কম ঘনত্বের কার্বন ডাই-অক্সাইড। আর সেটাই ওই আলো-ফাঁদের দিকে টেনে আনে মশাদের। আলোর নীচে রাখা জালে মশা টপাটপ পড়বে আর মরবে।

মানুষের নিঃশ্বাসের সঙ্গে নির্গত হাল্কা কার্বন ডাই অক্সাইড এবং ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে আসা ল্যাকটিক অ্যাসিড মশাদের আকর্ষণ করে। ওই গন্ধই মশাদের টেনে আনে মানুষের দিকে। মশার সেই চরিত্রকে কাজে লাগিয়েই মালয়েশিয়ায় তৈরি হয়েছে এই নতুন ধরনের সৌর আলো।

তবে কৃত্রিম ওই ফাঁদে ল্যাকটিক অ্যাসিডের পরিবর্তে হাল্কা ঘনত্বের কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহৃত হয়। মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দেখেছেন, আলোর অতিবেগুনি রশ্মির সঙ্গে টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইডের বিক্রিয়ায় মৃদু (কম ঘনত্বের) কার্বন ডাই-অক্সাইড তৈরি হচ্ছে। তাই আলো জ্বলার কিছুক্ষণের মধ্যেই মশারা ওই আলোর দিকে ছুটে আসছে।’

মালয়েশিয়ায় সৌর বিদ্যুৎ নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রযুক্তি এতদিন পরীক্ষামূলক স্তরে ছিল। পরীক্ষায় নতুন এই পদ্ধতি সফল হয়েছে। তাই শীঘ্রই এই প্রযুক্তিকে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।’

Discover extraordinary stories from around the world with our exceptional news coverage. From uplifting human interest stories to groundbreaking scientific discoveries, we bring you the best of the best. Stay informed about the latest breakthroughs in technology, medicine, and beyond, and explore the world's most fascinating cultures and communities. Get inspired and informed with our exceptional news coverage.