পৃথিবীতে কতো রকম ঘটনাই না ঘটে। কিন্তু যদি দেখেন যে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পয়সা! অবাক হবেন নিশ্চয়ই। তবে এমন ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশেই। টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে ক্রেতার অভাবে কেজি দরে কাঁচা পয়সা বেঁচতে বাধ্য হয়েছেন এক ব্যক্তি।

coin per kg

বাংলাদেশে পয়সার প্রচলন শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই মাটির ব্যাংকে তা সংরক্ষণের একটি অভ্যাস বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। বর্তমানে পয়সা সংরক্ষণের এই পদ্ধতিটি এতোটা জনপ্রিয় না হলেও গ্রাম বাংলায় এখনো এমনটি দেখা যায়। অন্যদিকে শহুরে জীবনে বিভিন্ন ধরনের নান্দনিক পাত্রে পয়সা জমানোর শৌখিনতাও লক্ষণীয়।

মূলত পয়সা সংরক্ষণের উদ্দেশ্য হচ্ছে, ধীরে ধীরে মোটা অঙ্কের টাকা জমানো। এমন কোন উদ্দেশ্যেই হয়তো টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরের এক ব্যক্তি মাটির ব্যাংকে পয়সা জমিয়েছিলেন। তবে এই পয়সা জমানোই তার কাল হলো। ব্যাংক ভেঙ্গে পয়সা সংরক্ষণের পর সেগুলো কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন না কেউই।

মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর বাসস্ট্যান্ডে পলিথিনের ব্যাগে পয়সা নিয়ে এক ব্যাক্তিকে বিভিন্ন দোকানে দোকানে ঘুরতে দেখা গেছে। কিন্তু পয়সাগুলো কিনতে রাজি হচ্ছিলেন না কেউ। শেষে কিছুটা কমমূল্যে হলেও কেজি দরে এক দোকানিকে পয়সাগুলো দিয়ে দেন তিনি।

ভুঞাপুরের স্থানীয় সাংবাদিক মিজানুর রহমান টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারকে বলেন, 'মঙ্গলবার সকালে এমন ঘটনা দেখে আমরা সকলেই বিস্মিত হয়েছি। ওই ব্যক্তির পয়সাগুলো কেউ কিনতে চাচ্ছিলো না। ভারি, রাখায় জায়গার অভাবসহ নানা অজুহাতে স্থানীয় দোকানদাররা সেই পয়সা বিক্রেতাকে ফিরিয়ে দিচ্ছিল।'

শেষ পর্যন্ত ২৫০ টাকা কেজি দরে পয়সাগুলো বিক্রি হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'প্রকৃতমূল্য দিয়ে কেউই পয়সাগুলো কিনতে চাচ্ছিল না। এক দোকানদার প্রতিকেজি ২৫০ টাকা দরে কিনতে আগ্রহ দেখান। সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে যান ওই ব্যক্তি। সবগুলো পয়সা কেজি দরে বিক্রি করে দেন তিনি।'

জানা গেছে, ওই ব্যক্তির সবগুলো পয়সার ওজন হয় ৪ কেজি। যার মূল্য নির্ধারণ করা হয় এক হাজার টাকা। কিন্তু পয়সাগুলো গুণে শেষ পর্যন্ত ১৫০০ টাকা পাওয়া যায়। পয়সাগুলো কেজি দরে কিনে নেন স্থানীয় কম্পিউটার-ফটোস্ট্যাটের এক দোকানদার।

Discover extraordinary stories from around the world with our exceptional news coverage. From uplifting human interest stories to groundbreaking scientific discoveries, we bring you the best of the best. Stay informed about the latest breakthroughs in technology, medicine, and beyond, and explore the world's most fascinating cultures and communities. Get inspired and informed with our exceptional news coverage.