অসুখী দাবি করে স্ত্রীর ডিভোর্স আবেদন আদালতে নাকচ

নিজেকে অসুখী দাবি করে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলেন ৬৮ বছরের বৃদ্ধা টিনি ওয়েন্স। কিন্তু ৪০ বছরের এই সম্পর্ক ভাঙতে রাজি ছিলেন না স্বামী হিউ ওয়েন্স। শেষ পর্যন্ত ৮০ বছর বয়সী স্বামীর বিরুদ্ধে নিজেকে অসুখী প্রমাণ করতে না পারায় স্ত্রীকে ডিভোর্সের অনুমতি দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

যুক্তরাজ্যের ওরচেস্টারশায়ারে এই ঘটনা ঘটেছে। সুপ্রিম কোর্ট সর্বসম্মতভাবে টিনি ওয়েন্সের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ফলে তাকে ২০২০ নাগাদ এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হবে। খবর: বিবিসি।

আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় টিনি ওয়েন্সের আইনজীবী বলেছেন, এই রায়ে তার মক্কেল ভেঙে পড়েছেন। এভাবে তিনি তার জীবনকে টেনে নিতে পারবেন না।

অন্যদিকে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে হিউ ওয়েন্স বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অযৌক্তিক আচরণের অভিযোগ সঠিক নয়। যদি তার স্ত্রী ডিভোর্স দিতে চায়, তাহলে তার সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক থাকায় সে এটা চাইতে পারে।

রায়ে বিচারক টিনির ওয়েন্সের আনা অযৌক্তিক আচরণের অভিযোগগুলোকে ‘ঠুনকো ও অতিরঞ্জিত’ বলে মন্তব্য করেন। অবশ্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার আদেশ দেয়ায় বিব্রত আদালত। কিন্তু বর্তমান আইনের বাইরে তাদের কিছুই করার নেই বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।

যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের আইন অনুযায়ী ডিভোর্স দিতে হলে পাঁচটি বিষয় থাকতে হবে। ১. ব্যভিচার ২. অযৌক্তিক আচরণ, ৩. সঙ্গীকে ফেলে পালিয়ে যাওয়া ৪. দুজনকে দুই বছরের বেশি আলাদা থাকতে হবে এবং দুজনকেই বিচ্ছেদে রাজি হতে হবে, এবং ৫. দম্পতির একজন বিচ্ছেদ রাজি না হলে বিচ্ছেদপ্রার্থীকে অন্তত পাঁচ বছর একা থাকতে হবে।

টিনি ওয়েন্স জানান, ২০১২ সালে এ সম্পর্ক থেকে মুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু বিয়ের সূত্রে পাওয়া বাড়িটি তিনি ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছাড়তে পারেননি। ফলে ডিভোর্স দিতে হলে তাকে এখন পাঁচ বছর পূর্ণ করতে হবে তথা ২০২০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এদিকে এই রায়ের পর ডিভোর্স আইন নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি স্বীকার করেছে। তারা আইনটি সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ারও ঘোষণা দিয়েছে।