গলদা চিংড়ি মানেই বাঙালির রসনাতৃপ্তির অন্যতম খাবার। কিন্তু মানুষের রসনাতৃপ্তির কারণ ছাড়াও এরা জীবজগতের জন্য অতি মূল্যবান প্রাণী। গলদা চিংড়ি সম্পর্কে মেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লবস্টার ইনস্টিটিউটের গবেষক রবার্ট সি বায়ের কিছু বিস্ময়কর তথ্য দিয়েছেন, যা টাইম ম্যাগাজিন সম্প্রতি প্রকাশ করেছে।

about shrimp

ধরা পড়া বা মারা পড়ার আগ পর্যন্ত গলদা চিংড়ি আয়তনে বাড়তেই থাকে। একবার প্রায় বিশ পাউন্ড ওজনের গলদা চিংড়ি পাওয়া গিয়েছিল। বর্তমানে পাঁচতারা হোটেল রেস্তোরাঁয় মহার্ঘ্য পদ হিসেবে গলদা রান্না হলেও কলোনিয়াল যুগে এটি ছিল অতি সস্তা এবং জেলের কয়েদি, ভৃত্যস্থানীয়দের খাবার।

মানুষ নিজেরা নিজেদের মাংস খেলে নরখাদকের স্বীকৃতি মিলে। কিন্তু গলদা চিংড়ি কোনো খাবার খুঁজে না পেলে নিজেরাই নিজেদের খায়।

গলদার পাকস্থলীতে একসারি দাঁতের মতো একটি অংশ থাকে। এই অংশটিই খাবারকে চূর্ণ বা চেবানোর কাজটি করে। আর পা এবং পায়ের পাতার রোমের মাধ্যমে খাবারের স্বাদ গ্রহণ করে। এটা দূরে থাকা খাবার শনাক্ত করে শুঁড় দিয়ে। শুঁড় হারানোর পরে পুনরায় সেই জায়গায় নতুন করে আগের মতো শুঁড় গজাতে প্রায় এক বছর সময় লাগে।

গলদা চিংড়ির দাঁড়ায় প্রচুর জোর থাকে, যা দিয়ে এক বর্গইঞ্চিতে প্রায় একশ পাউন্ড চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব।

গলদার অন্ত্র, লিভার এবং প্যানক্রিয়াসের অংশটি সবুজ দেখায়। আর লাল লাল কিছু দেখা গেলে বুঝবেন এটি ডিম। একটি মজার তথ্য হল, এই গলদা চিংড়ির খোলস দিয়েই একবার এক অধ্যাপক গলফ বল বানিয়ে ফেলেছিলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

গোলমরিচে ভেটকি

মাশরুমের দোপেঁয়াজা

বিকেলের নাস্তায় চিকেন কাটলেট

বিশ্বের সবচেয়ে দামি কাবাবের দাম কত?

খাবার টেবিলে 'মাছের সেঁকা কাবাব'

Discover extraordinary stories from around the world with our exceptional news coverage. From uplifting human interest stories to groundbreaking scientific discoveries, we bring you the best of the best. Stay informed about the latest breakthroughs in technology, medicine, and beyond, and explore the world's most fascinating cultures and communities. Get inspired and informed with our exceptional news coverage.