the beast

ভারত সফরে আসছেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তাঁর সফরকে ঘিরে ঘুম নেই ভারতীয় গোয়েন্দাদের। তবে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত গাড়ি ‘দ্য বিস্ট’ যদি থাকে তাহলে আর কোনো নিরাপত্তারই দরকার নেই বারাক ওবামার।

ভারত সফরের জন্য সুদূর আমেরিকা থেকে উড়িয়ে আনা হতে পারে ওবামার নিজস্ব গাড়ি ‘দ্য বিস্ট’। বিস্টকে শুধু গাড়ি হিসেবে ধরলে ভুল করবেন আপনি। নিরাপত্তার জন্য কী নেই ওই গাড়িতে! এমনিতেই নিরাপত্তা ও যোগাযোগ-ব্যবস্থা অত্যাধুনিক হওয়ার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত গাড়ি হিসেবে আখ্যা দেয়া হয় বিস্টকে।

কালো রঙের লিমুজিন বিস্টকে নির্মাণ করেছে বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মাণ কোম্পানী জেনারেল মোটরস। সবাই এটিকে ‘দ্য বিস্ট’ বলে ডাকলেও 'ক্যাডিলাক ওয়ান' বা 'লিমো ওয়ান' বলেও ডাকনাম আছে এটির।

সম্ভবত ‘দ্য বিস্ট’-ই বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ গাড়ি। গাড়িটির বডি স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, টাইটেনিয়াম এবং সিরামিক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ওয়ার ট্যাংকের মতো এটির দরজায় রয়েছে পুরু আট ইঞ্চি স্টিল প্লেটের বর্ম। যা ভিতরের আরোহীকে রকেট ও আইইডি হামলা থেকে বাঁচাবে।

বিস্টের জানালার কাঁচও একেবারে পাঁচ ইঞ্চি পুরু। যে কোনো অস্ত্রের জন্য জানালা ভেদ করা অসম্ভব। স্টিল আর এতো ভারি কাঁচ মিলিয়ে বিস্টের একটি দরজার ওজন বোয়িং ৭৫৭ বিমানের দরজার সমানই!

গাড়িটির ড্রাইভারের পাশের আসনের জানালা ছাড়া আর কোনো জানালাই খোলা যায় না। ফলে ভিতরে থাকা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রাসায়নিক ও জৈবিক হামলা থেকেও অক্ষত থাকবেন।

বোমা বা গুলি করে গাড়ির তেলের ট্যাংক ফুটো করে দেয়া হবে সে উপায়ও নেই। কারণ গাড়ির তেলের ট্যাঙ্কও আর্মার দিয়ে মোড়ানো। এছাড়া বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে একটি ফোমের জ্যাকেট দিয়ে ফুয়েল ট্যাঙ্ককে মুড়ে রাখা হয়েছে। যাতে আগুন লাগলেও তেলের ট্যাংক অক্ষত থাকে। সাথে আছে গাড়ির নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা।

কোনোভাবেই ক্ষতি করতে না পেরে কেউ যদি বিস্টের চাকা বরাবর নিশানা করে তাহলে তাকে হতাশই হতে হবে। বিস্টের চাকা কোনোভাবেই ফুটো করা যাবে না। কারণ এটির চাকা বুলেটপ্রুফ কেভলার দিয়ে মোড়ানো। দুর্ভাগ্যবশত যদি চাকা ফুটো হয়েও যায় তাহলে স্টিলের রিমের সাহায্যেই যাতে গাড়ি গড়িয়ে যেতে পারে সে ব্যবস্থাও করা আছে।

দ্য বিস্টে রয়েছে টিয়ার গ্যাস। আরও ভয়ংকর শত্রুর জন্য রয়েছে শটগান। প্রেসিডেন্টের যে কোনো অসুস্থতার জন্য গাড়িতেই রয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। রক্তের প্রয়োজন হলেও সমস্যা নেই। আছে প্রেসিডেন্টের রক্তের গ্রুপের মানানসই রক্তের ব্যাগ।

গাড়িতে বসেই প্রেসিডেন্ট যোগাযোগ করতে পারবেন পৃথিবীর যে কারও সঙ্গে। চাইলে পৃথিবীর যে কোনো স্থানে পরমাণু হামলাও!

তবে বিস্টের খুঁত ওই এক জায়গাতেই। এতো ভারী শরীর নিয়ে দ্রুত চলতে তার খুব আলসেমি। ঘণ্টায় ষাট মাইলের বেশি গতি তুলতে বিস্ট অপারগ। আর প্রতি এক কিলোমিটার যেতে খরচ হয় তিন লিটারের মতো তেল।

তবে যে গাড়ির যাত্রী বারাক ওবামা, সে গাড়ি কতোটুকু বেশি তেল খরচ করলো- সে প্রশ্ন আসলেই অবান্তর। 

 

আরও পড়ুন

লাঞ্চের পর অফিসে ঘুম!

হতে পারেন আস্ত একটি শহরের মালিক

রূপকথার সাপ যখন বাস্তবে

Discover extraordinary stories from around the world with our exceptional news coverage. From uplifting human interest stories to groundbreaking scientific discoveries, we bring you the best of the best. Stay informed about the latest breakthroughs in technology, medicine, and beyond, and explore the world's most fascinating cultures and communities. Get inspired and informed with our exceptional news coverage.