ট্রেনের ছাদ কেটে টাকা চুরি!

ট্রেনের ছাদ কেটে টাকা চুরি। অভিনব এই চুরি সংঘটিত হয়েছে ভারতের তামিলনাড়ুতে। ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক দু’শোটি বাক্সে ভরে প্রায় তিনশো বিয়াল্লিশ কোটি টাকা পাঠাচ্ছিল রাজধানী চেন্নাইতে। টাকাগুলো এক বিশেষ কামরা ও বিশেষ পাহারায় তামিলনাড়ুর সালেম শহর থেকে চেন্নাইতে নেয়া হচ্ছিল।

নিরাপত্তার স্বার্থে সেই বিশেষ কামরাটির পাশের কামরায় একজন সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ প্রহরায় ছিলেন। নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ দল প্রতিটি স্টেশনেই পরীক্ষা করে দেখেছে কামরার তালা আর সিল ঠিক আছে কিনা। কিন্ত এতো নিরাপত্তাকে ঠুনকো বানিয়ে ঠিকই দুষ্কৃতিকারীরা হাতিয়ে নিল প্রায় ছয় কোটি টাকা। যদিও রেল পুলিশের আই জি ভি রামসুব্রমনি বলছেন, সব টাকা গুনে দেখার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে ঠিক কত টাকা চুরি গেছে।

ট্রেনটি মঙ্গলবার চেন্নাইতে পৌঁছালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মকর্তারা বিশেষ কামরাটির দরজা খুলেই দেখতে পান, ট্রেনের কাটা ছাদ দিয়ে আলো ঢুকছে। কামরার ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে টাকা এবং কয়েকটি বাক্স ভাঙ্গা। পুলিশ ট্রেনের ছাদ পরীক্ষা করে দু’ফুট বাই দু’ফুটের একটি কাটা দেখতে পান।

চুরির কিছু সূত্র পাওয়া গেলেও তদন্তের স্বার্থে এখনই সব বলা সম্ভব নয় বলে জানান রেল পুলিশের আই জি ভি রামসুব্রমনি। পুলিশের ধারণা, দু’ভাবে ঘটনাটি সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে। এক, সালেম ও বৃদ্ধাচলম স্টেশনের মাঝে প্রায় ১৩৮ কিলোমিটার রেলপথের বৈদ্যুতিকরণ করা হয়নি, জায়গাটি অতিক্রম করার সময়েই দুষ্কৃতিকারীরা গ্যাস কাটার দিয়ে ট্রেনের ছাদ কেটে থাকবে অথবা তারা কামরাটি সিল করার আগেই ভেতরে লুকিয়ে ছিলো, পরে ছাদ কেটে পালিয়েছে।

প্রতিটি স্টেশনেই পুলিশ তালা ও সীল পরীক্ষা করলেও কামরার ছাদের দিকে নজর দেয়নি। কারণ চলন্ত ট্রেনের শক্ত ইস্পাতের ছাদ যে কাটা যেতে পারে, তা ছিল কল্পনাতীত। কিন্তু একটি ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে, সর্ষের মধ্যেই ভূত, তা না হলে চোরেরা টাকার কথা কিভাবে জানল।

আপনি আরও পড়তে পারেন

৫০ বছরে এতো বড় ইলিশ কেউ দেখেনি!

অলসতা উচ্চ বুদ্ধিমত্তার লক্ষণ!

সুইপার পদে পাঁচ লাখ স্নাতকধারীর আবেদন!

প্যারাসুট ছাড়া ২৫ হাজার ফুট উঁচু থেকে লাফ!

প্রাচীন সভ্যতার খোঁজ পাওয়া গেল তামিলনাড়ুতে