মোবাইল ফোন ব্যবহারে ভদ্রতা

মোবাইল এখন আমাদের নিত্যদিনের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোবাইল ছাড়া একদিনও হয়তো জীবন যাপন করা সম্ভব নয়। তবে প্রয়োজনীয় এই যন্ত্রটিই মাঝে মাঝে নাগরিক জীবনের সবচেয়ে বিরক্তিকর বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। এর কারণও আছে। অনেক সময় আমরা কেউই সমাজে চলাফেরার স্বাভাবিক ভদ্রতাটুকু মনে রাখি না। ফলে দেখা দেয় বিড়ম্বনা। মোবাইল ব্যবহার নিয়ে লিখিত কোনো নিয়ম কানুন না থাকলেও আছে সামাজিক ভব্যতা। চলুন জেনে নিই সেসব।

অপরচিত কাউকে ফোন দিলে প্রথমেই নিজের নাম বলে নেয়া উচিত। পরে ধীরে ধীরে ফোন দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করুন। এতোটুকু ভদ্রতা না দেখিয়ে শুধু নিজের কাজ হাসিল করতে চাইলে জটিলতাই সৃষ্টি হবে।

অনেকে ফোনে কথা বলার সময় আস্তে আস্তে কথা বলতে পারেন না। এটা কোনোভাবেই ভালো অভ্যাস নয়। মনে রাখবেন, এতে অন্যের ক্ষতি হয়। তাই ফোনে আস্তে কথা বলার অভ্যাস করুন। অন্যথায় একটু সরে গিয়ে কথা বলুন।

ফোন দেয়ার আগেই কথা গুছিয়ে নিন। ফোন দেয়ার পর আমতা আমতা করা মোটেও ভালো নয়। আপনার অপর প্রান্তের লোকটি ব্যস্তও থাকতে পারেন। তবে এজন্য সবার আগে ‘কথা বলার সময় হবে কি না’ জিজ্ঞাসা করে নিন।

আপনার ফোনে আপনি যে কোনো রিংটোনই ব্যবহার করতে পারেন। কেউ আপনাকে কিছু বলতে আসবে না। তবে মনে রাখতে হবে, সবার মাঝেই আপনি বসবাস করেন। তাই ফোনের রিংটোন শ্রুতিমধুর কোনো কিছু নির্বাচন করুন। রিংটোন যেনো কোনোভাবেই অন্যের কানে পীড়া না দেয়।

কেউ একবার ফোন রিসিভ না করলে তাঁকে আর ফোন দেয়া উচিত নয়। খুব বেশি ইমার্জেন্সি হলে দ্বিতীয়বার দিতে পারেন। এর পরেও না ধরলে আবার দশ মিনিট পর চেষ্টা করুন। বার বার ফোন দিয়ে যাওয়া কখনোই ভালো নয়। এতে মানুষ বিরক্ত হয়।

অনুমতি ছাড়া অন্যের ফোন কখনও রিসিভ করা ঠিক নয়। মেসেজ বক্স দেখা তো অন্যায়ের পর্যায়ে পড়ে।

ফোন রেখে দেয়ার আগে বিদায় জানিয়ে তবেই ফোন রাখুন। মনে রাখুন, আপনার ভালো ব্যবহার আপনাকেই অন্যের সামনে ভালোভাবে উপস্থাপন করবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

বজ্রপাত এড়ানোর উপায়

ছুটির দিনেও রুটিন ভঙ্গ নয়

হাঁচি দূর করুন সহজেই