হয়ে উঠুন ইতিবাচক অভিভাবক

অভিভাবকত্ব খুব জটিল কাজ। সন্তানদের ব্যাপারে আমাদের সবারই সতর্ক হওয়া উচিত। শুধুমাত্র শৃঙ্খলার দিকে নজর দিতে গিয়ে অনেক কিছুই আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। সত্যি বলতে কি আমরা সন্তানদের আচরণ সংশোধন করতে যে পদ্ধতি ও কৌশল ব্যবহার করি সে তুলনায় তাদের গড়ে তুলতে আরও অনেক ব্যাপার আছে যা গুরুত্বপূর্ণ।

সম্পর্ক: আমাদের সন্তানদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কী রকম তার প্রভাব তাদের জীবনে সারাজীবন ধরে পড়ে। তাই সম্মান, সহানুভূতি এবং সমবেদনার উপর ভিত্তি করে একটি ফলদায়ক সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে মনোযোগী হোন। সন্তানদের শুনুন এবং আশস্ত করুন, ভাল কিংবা খারাপ সব পরিস্থিতিতে পাশে পাবে আপনাদের।

আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে আপনার সম্পর্ক: আপনার বাচ্চারা আপনাকে দেখছে এবং দেখে দেখে শিখছে। আপনি এবং আপনার সঙ্গী একে অপরের সঙ্গে কেমন আচরণ করছেন এটাই আপনার জীবনের ভিত্তি গড়ে দেবে। সুখী অভিভাবকরাই পারে বাচ্চাদের খুশি করতে। সুখী পরিবারের ভিত্তির কারণে দুজনের মধ্যে একটি শক্তিশালী ও প্রেমময় সম্পর্ক হয়।

আপনার বাড়ির পরিবেশ: আপনার সম্পর্কগুলো যদি প্রেমময় এবং সুন্দর থাকে, তাহলে সম্ভবত আপনি একটি উষ্ণ পরিবেশে আছেন। আপনি এবং আপনার স্ত্রী, অথবা আপনি এবং আপনার সন্তান, অথবা আপনার সন্তান এবং আপনার অন্য সন্তানের মধ্যে যদি বিভেদ থাকে তাহলে সামগ্রিক পরিবেশটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আপনার বাড়ি আপনার পরিবারের সব সদস্যদের জন্য একটি আশ্রয়স্থল। শিশুদের বাড়িতে রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় বাড়ির পরিবেশ নিরাপদ, উষ্ণ, প্রেমময় ও মনোরম করে তুলুন।

স্কুল: আপনি প্রাইভেট স্কুল, পাবলিক স্কুল, হোমস্কুলিং বা আনস্কুলিং যেটাই পছন্দ করুন না কেন জেনে-বুঝে করবেন । আপনার পছন্দ আপনার সন্তানের উপর প্রভাব ফেলবে ।

মৌলিক চাহিদা: পর্যাপ্ত পুষ্টি, ঘুম এবং ব্যায়ামই আপনার সন্তানের জন্য মঙ্গলময় বা অপরিহার্য নয়। এর পাশাপাশি ব্যবহারের প্রভাবও আছে। কারণ বাচ্চারা আশপাশ থেকেই শেখে। তাই সন্তানদের সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠায় সার্বিক পরিচর্যা জরুরি।