বই হোক প্রথম পছন্দ

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। এই মাসেই বাঙ্গালির প্রাণের বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফেব্রুয়ারি মাস পুরোটা জুড়েই থাকছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলা।

বইয়ের প্রতি বাঙ্গালির ভালোবাসা চিরদিনের। সাহিত্যের নানান শাখা তার ডালাপালা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে বইয়ের মাধ্যমে। বই পড়লেই সাহিত্যের সেসব দিকগুলি আমাদের সবার সামনে উম্মোচিত হয়ে ওঠে।

জ্ঞানীরা বইকে জানালার সাথে তুলনা করে থাকেন। যে জানালা দিয়ে আবদ্ধ ঘর থেকে বিস্তৃত আকাশ দেখা যায়। মানুষ যখন বই থেকে দূরে থাকে তখন সেও এমন একটি অন্ধকার ঘরের মতো। যার ভিতরে আলো ঢুকে না। নিশ্ছিদ্র অন্ধকার। আর অন্ধকার মানেই সকল পাপাচারের আধার।

বই হচ্ছে অন্ধকারের ঘরের জন্য আলোর মশাল। মানুষের অন্তরের সমস্ত সংকীর্ণতা দূর করতে বইয়ের বিকল্প নেই। একেকটি বই জ্ঞানের একেকটি জানালা। সেসব বই পড়লে জ্ঞানের সেই সব জানালা দিয়ে বিশাল আকাশ দেখা যায়। আলোর আকাশ। বিস্তীর্ণ আকাশ।

হাজার বছর আগে কোন মণীষী কী বলে গিয়েছিলেন, তা শুনতে পাওয়ার কোনো উপায় কিন্তু আপনার কাছে নেই। কিন্তু সেই মণীষীর সাথে আপনার দেখা করিয়ে দিতে পারে একমাত্র বই।

আবার কোনো একজন সাহিত্যিক হয়তো শুধুমাত্র সাহিত্যের জ্ঞান নিয়েই সারাজীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। বিজ্ঞানের কোনো শিক্ষা তাঁর কাছে ছিলো না। আবার অন্য কেউ হয়তো বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্ম ইত্যাদিতে ব্যুৎপত্তি অর্জন করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। সারাজীবনে সাহিত্যের ধারে কাছেও যান নি।

কিন্তু কে চায় কোনো এক নির্দিষ্ট জ্ঞানের মাঝে নিজেকে সীমাবদ্ধ করে নিতে। বই পড়লে আপনার সে ভয় নেই। কারণ আপনি যখন সাহিত্যের বই পড়বেন, তখন আপনি নিজে একজন সাহিত্যিক। যখন বিজ্ঞানের বই পড়বেন, তখন আপনি নিজেই একজন বৈজ্ঞানিক। এভাবে কখনও আপনি ঐতিহাসিক, কখনও অর্থনীতিবিদ, কখনও কবি।

সুতরাং বই পড়ুন। বই কিনুন। নিজেকে সমৃদ্ধ করুন।

আরও পড়ুন

যে বয়সে একাকীত্বে ভোগে মানুষ

আপনি কি একজন ভালো বস?

অক্ষুণ্ণ থাকুক আপনার ব্যক্তিত্ত্ব