খুশকি দূর করতে চান? জেনে নিন ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি...

চুলের যত্নে কত জন কতো পদ্ধতিই না গ্রহণ করে থাকেন। চুলে ময়লা জমলে বা খুশকি হলে বিরক্তির যেন সীমা থাকে না। আর যাদের ঘন ঘন খুশকি হয়, তারা তো একেবারেই অস্থির হয়ে পড়েন। এমন কিছু ঘরোয়া নিয়ম আছে যা মেনে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক, খুশকি মুক্ত চুলের ঘরোয়া কিছু টিপস-

নিম পাতা: নিমের গুণের যেন শেষ নেই। স্বাদে তিতা হলেও এর উপকারীতা ভারি মিষ্টি। হাতেখড়ির বই থেকে শুরু করে সবখানে নিমের নানা গুণের কথা পড়তে পড়তে আমরা বড় হই। নিম পাতা ব্যবহার করলে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। কেননা নিম পাতায় ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান থাকে, যা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। মাথায় চুলকানি ও চুল পড়া রোধেও ব্যবহার করতে পারেন নিম পাতা। নিম পাতা বেটে ব্যবহার করতে পারেন চুলে। এভাবে কিছুদিন পরপর নিম পাতা ব্যবহার করে স্থায়ীভাবে রেহাই পেতে পারেন খুশকি সমস্যা থেকে।

লেবুর রস: দাগ, ময়লা ও কাপড়ে লাগা তরকারির দাগ দূর করতে লেবু যেমনি উপকারী তেমনি উপকারী খুশকি দূর করতেও। লেবু কেঁটে গোসলের আগে ভালভাবে মাথায় ম্যাসাজ করুন। এরপর গোসল করে নিন। লেবুর রসের প্রভাবে আপনার চুলের খুশকি তো দূর হবেই সঙ্গে চুলের আঠালো ভাবও কেটে যাবে। বৃদ্ধি পাবে চুলের উজ্জ্বলতা।

ভিনেগার: খুশকি সমস্যা দূর করতে অন্যতম কার্যকরী উপাদান হলো- ভিনেগার। আপেল সিডার ভিনেগার বা সাদা ভিনেগার এর যে কোন একটি ব্যবহার করে খুশকি সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন। এক কাপের ৪ ভাগের ১ অংশ ভিনেগার এবং বাকি ৩ অংশ পানি নিয়ে মিলিয়ে মাথায় ব্যবহার করুন। ভিনেগার মিশ্রণ ব্যবহারের পরপরই চুল ধুয়ে ফেলবেন না। বরং ভিনগার দ্রবনে চুল ভিজানোর পর তা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিতে পারেন। চুল শুকানোর সঙ্গে সঙ্গে ভিনেগারের গন্ধও চলে যাবে। খুশকি দূর না হওয়া পর্যন্ত এভাবে নিয়মিত ভিনেগার ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

নারিকেল তেল: চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ও খুশকি দূর করতে নারিকেল তেলের ব্যবহার বেশ পুরাতন। গোসলের ৩০ মিনিট আগে ৩ থেকে ৫ টেবিল চামচ নারিকেল তেল মাথার তালুতে লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

খুশকি মুক্ত চুলের জন্য উপরের যেকোন একটি উপায় পরখ করে দেখতে পারেন। ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।