ঘরোয়া উপায়ে মাথার উকুন তাড়াবেন যেভাবে

ছোট্ট সোনামনির মাথা ভর্তি চুল কিন্তু পাল্লা দিয়ে চুল ভর্তি উকুন। এই উকুনের সমস্যায় আপনার শিশু যেমন ভোগান্তি পোহাচ্ছে তেমনি আপনিও পড়ছেন লজ্জায়। আবার সময় মতো চুলের যত্ন নিতে না পারায় হয়ত আপনার চুলেও বাস করছে বিরক্তিকর এই প্রাণীটি। আজকের আয়োজনে জেনে নেব ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে উকুন দূর করতে পারেন।

চা পাতার তেল (টি ট্রি অয়েল) এ রয়েছে উকুন নাশক উপাদান। এটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে রেখে ঘণ্টা দুয়েক পর ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই/তিনবার লাগালে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। হেয়ার ড্রায়ারের গরম বাতাসেও উকুন ও উকুনের ডিম মারা যায়। তবে সহায়ক পদ্ধতি হিসেবে এর ব্যবহার হতে পারে।

চিজ, বারবিকিউ, স্যান্ডউইচে ব্যবহৃত মেয়নিজ মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন। হ্যাঁ, ঠিক পড়ছেন। উকুন তাড়াতে এটি ভালো কাজে লাগে। কনফেকশনারীতে পাবেন এই মেয়নিজ। ত্বকে ভালো করে মেখে সারারাত রেখে সকালে ছোট দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে ফেলুন চুল। উকুন তো যাবেই সাথে উকুনের ডিমও ঝরে যাবে। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন মেয়নিজ মাখা তেলতেলে চুল। ভালোভাবে চুল পরিষ্কার হতে কয়েক বার ধোয়া লাগতে পারে।

পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়েও উকুন তাড়ানো যায়। মেয়নেজের মতোই মাথার ত্বকে লাগিয়ে সারারাত রেখে তারপর চিরুনি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তবে এটি বড় চুল পরিষ্কারে ঝামেলা বাড়ায়, ছোট চুলের জন্য বেশ ভালো এই পেট্রোলিয়াম জেলির পদ্ধতি।

নারিকেল তেল হচ্ছে সহজলভ্য উপায়ে উকুন তাড়ানোর পদ্ধতি। চুলে বেশি করে তেল দিয়ে মোটা তোয়ালে দিয়ে চুল বেঁধে সারারাত রেখে দিলে উকুন মরে যায়। পরদিন সকালে চুল আঁচড়ালে উকুন সব পড়ে যায়। তাছাড়া নারকেল তেল উকুনকে এক জায়গায় আটকে রাখতে সাহায্যে করে বলে মাথায় তেল দেয়ার পর বিলি কেটেও উকুন দূর করা সম্ভব।

রসুনের তীব্র গন্ধেও উকুন পালাবে। কয়েক কোয়া থেতানো রসুন ও কয়েক চামচ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিন। তারপর ভারী কাপড় বা তোয়ালেতে চুলসহ মাথা পেঁচিয়ে রেখে দিতে হবে সারারাত। সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিলেই উকুন ও ডিম সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। পিঁয়াজের রসের সাথে লেবুর রস ও শুধু নিমপাতার রস একই পদ্ধতিতে ব্যবহারে উকুন দূর হবে।

পরিমাণ মতো লবণ ভিনেগারের মিশ্রণও একই কাজ করবে। তবে এটি সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আবার উকুনের ডিম বা নিক বেছে আনাও একটি পদ্ধতি। তবে তা সময় ও পরিশ্রম সাপেক্ষ হয়। তাই উপরের দেয়া পদ্ধতিগুলো থেকে পছন্দসই একটি বা দুটি বেছে নিয়ে উকুন তাড়াতে পারেন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার করে মাস দেড়েক যে কোনো পদ্ধতি অবলম্বনে চুল থাকবে উকুন মুক্ত।