চুল রাঙাতে প্রাকৃতিক রঙ

চুলে রঙ করার প্রবণতা কয়েক বছর হল শুরু হয়েছে, যা প্রায় প্রত্যেকেই পছন্দ করছেন। কিন্তু হেয়ার কালারগুলো রাসায়নিক উপাদানে পূর্ণ থাকে, যেটি আপনার চুলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সৌভাগ্যবসত প্রকৃতি আমাদের প্রাকৃতিকভাবে চুল রঙ করার বিকল্প উপাদান দিয়েছে, যা সম্পূর্ণ নিরাপদ।

চলুন যেনে নেই চুল কালার করার প্রাকৃতিক কয়েকটি উপাদান-

লেবু

• লেবুর রস চুলের রঙ হালকা বা উজ্জ্বল করতে সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি। এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। যদি সঠিক রঙ পেতে চান তাহলে বেশ কয়েকবার ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে।

কফি

• ব্ল্যাক কফির ব্যবহারে চুলের রঙ কালো হয়। একটি সস্তা কন্ডিশনারের সঙ্গে কফি মেশান অথবা ইনস্ট্যান্ট কফি ১ / ৪ কাপ যোগ করে ভালভাবে মেশান। চুল এবং মাথার তালুতে মিশ্রণটি ম্যাসাজ করে চুল প্লাস্টিক ক্যাপে মুড়িয়ে ১৫-৩০ মিনিট রাখুন। এবার ধুয়ে ফেলুন এবং পার্থক্য দেখুন।

চা

• ক্যামোমিল চা চুল হাইলাইট করতে কার্যকরী। ফুটন্ত পানিতে চা বা চায়ের ব্যাগ দিয়ে অপেক্ষা করুন। চায়ের রঙ ছড়ালে এটি ঠাণ্ডা করুন এবং ব্যবহার করুন। ৩ থেকে ১০ মিনিটের জন্য এটি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এবং আরও গাঢ় রঙ পেতে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।

বীটরুট এবং গাজরের রস

• আলাদা বা একসঙ্গে এই দুটি সবজির রস প্রাকৃতিকভাবে চুলে লাল আভা আনবে। আলাদা বা একসঙ্গে ব্যবহার করার পদ্ধতি হল হাত ধুয়ে শুকিয়ে নিন। তারপর চুলে মিশ্রণটি ঢেলে ভালো করে লাগান এবং এক ঘণ্টা রাখুন। তারপর স্বাভাবিক শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

গাঁদা ফুল

• পানিতে গাঁদা ফুল ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। এটি হাইলাইট হিসাবে বাদামী রঙের চুলে বা লাল চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। দীর্ঘক্ষণ রাখলে এটি আপনার চুলে হলুদাভ ভাব এনে দিতে পারে।

মনে রাখবেন, প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহারের পর ভালো করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। ভালো ফল পেতে আপেল সিডার ভিনেগার শ্যাম্পুতে মিশিয়ে নিন। সঠিক রঙ পেতে কয়েকবার ব্যবহার করতে হতে পারে। রঙ যত বেশি সময় রাখবেন ততই রঙের ভিন্নতা পাবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে পেঁপে

দাগহীন ত্বকের জন্য ৩টি ফেসপ্যাক

এই শীতে পায়ের যত্নে ফুট স্ক্রাব